কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২১ দিন লকডাউনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভিনরাজ্যে কর্মরতদের। পরিবহণ ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই হেঁটে বাড়ি ফিরছেন। ২০০ কিলোমিটার হেঁটে আসার পথে শনিবার আগ্রায় মারা যায় এক ব্যক্তি। আপাতত উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি সরকার ওই শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে। এমনই এক বাসে ঘরে ফিরছিল ওই কর্মরতরা। বরেলিতে রাস্তায় বাস থেকে নামিয়ে তাদের শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিল পুলিসও। ঘটনার ভিডিও প্রকাশিত হতেই সরব হয়েছে বিরোধী নেতৃত্ব। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ট্যুইট, উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে আবেদন করতে চাই যে, দয়া করে এমন অমানবিক কাজকে প্রশ্রয় দেবেন না। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী লিখেছেন, বরেলিতে ভিনরাজ্যে কর্মরতদের গায়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হল সবচেয়ে বড় নিষ্ঠুরতা। সরকারের অবিলম্বে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত। এসপি নেতা অখিলেশ যাদব ঘটনার নিন্দা করে লিখেছেন, এরকম করতে কি হু বলেছে? রাসায়নিকের জ্বালা কমাতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি?
সমালোচনার মুখে অবশ্য কাজের সাফাই দিয়েছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, তাদের গায়ে ক্লোরিন মেশানো জল ছেটানো হয়েছে। কোনও রাসায়নিক স্প্রে করা হয়নি। একসঙ্গে বহু মানুষ এসেছিলেন। তাই আমরা যেটা সবচেয়ে ভালো মনে করেছি, সেটাই করেছি। তবে জেলাশাসক ট্যুইট করে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের নজরদারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা হবে। ফায়ার ব্রিগেড ও পুর আধিকারিকদের বাস স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছিল। তাই যে সব আধিকারিক এই ঘটনায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দমকল আধিকারিক মোহন শর্মাও বলেছেন, ‘জীবাণুনাশকে রাসায়নিক থাকে। মানুষের উপর তা প্রয়োগ করা উচিত নয়। ভিডিওটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা জানি না সরাসরি ওই স্প্রে তাদের গায়ে দেওয়া হয়েছে কি না। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।’