বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আজ রেলমন্ত্রকের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি) রাজেশ ডি বাজপেয়ি জানিয়েছেন, সারা দেশে রেলের মোট ১২৮টি হাসপাতাল এবং ৫৮৬টি ডিসপেনসারিতে এই করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা করাতে পারবেন অন্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরাও। সংশ্লিষ্ট নিয়ম মেনে এই পরিষেবা পাবেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর পরিবারের সদস্যরাও। জানা যাচ্ছে, রেলবোর্ডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হেলথ ডাঃ বিজয় কুমারের ওই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত রেলওয়ে জোনের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে। সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত রেল হাসপাতাল এবং হেলথ ইউনিটে রেলকর্মীদের পাশাপাশিই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসা করানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলবোর্ড। এক্ষেত্রে নিজের সরকারি পরিচয়পত্র দেখিয়েই রেল হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। অন্যদিকে, ওষুধপত্র, চিকিৎসার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, মাস্ক প্রভৃতির জোগান সারা দেশে অব্যাহত রাখতে দেশজোড়া ২০টি রুটকে চিহ্নিত করেছে রেলমন্ত্রক। যার মধ্যে থাকছে বাংলার পাঁচটি রুটও। রেল জানিয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহকারী মালগাড়ির পাশাপাশিই এই পার্সেল স্পেশাল ট্রেনগুলিকে চালানো হবে। এমনিতেই গত ২২ মার্চ থেকে মালগাড়ির পাশাপাশি সারা দেশে মোট আটটি রুটে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। এই আটটি রুটের সঙ্গেই আরও ২০টি রুটকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণের জন্য মালগাড়ি চালানো হচ্ছেই। পাশাপাশি যাতে চিকিৎসা পরিষেবায় কোনওরকম বিঘ্ন না ঘটে, সেই কারণে চিকিৎসার সরঞ্জাম সহ পণ্যগুলির জোগান অব্যাহত রাখতে সারা দেশে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।