কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
লকডাউন পর্বে বিভিন্ন রাজ্যের দিন মজুররা স্ত্রী, সন্তান, পরিবার সহ যে যার রাজ্যে ফিরে যেতে চাইছে। সেই মতো রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় জমা হচ্ছে কাতারে কাতারে অসহায় মানুষ। বাস ট্রেন না চলায় মাইলের পর মাইল পা হেঁটেই পাড়ি দিচ্ছে আতঙ্কিতরা। গত দু’দিন ধরে খোদ রাজধানীর দিল্লি সীমান্তে যেভাবে লোটা কম্বল নিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছেন, তাতে লকডাউনের প্রকৃত উদ্দেশ্য বজায় রাখাই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। করোনার ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ আটকাতেই ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত তা চলবে। কিন্তু এভাবে আচমকা কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই লকডাউনের মধ্যে পড়ে কী খাব, কীভাবে বাড়ি ভাড়া মেটাব, কীভাবে চলবে সংসার, তা নিয়ে আশঙ্কার শিকার দিন মজুররা পরষ্পরের থেকে দূরে থাকার স্বাস্থ্যসম্মত সরকারি নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই রাস্তায় নেমেছে। তাঁরা বলছেন, করোনায় মরার আগে তো না খেতে পেয়েই মারা যাব।
কিন্তু এভাবে ভয়াবহ জমায়েতে যেকোনও মুহূর্তে ছড়াতে পারে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ। তাই দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত আনন্দবিহার গাজিয়াবাদের ভিড় দেখে তড়িঘড়ি রাজ্যগুলিকে কড়া হাতে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিল উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক সরকারি বিবৃতি দিয়ে রবিবার জানিয়েছে, কোনওভাবেই ২১ দিনের লকডাউন পর্বের নিয়ম অমান্য করা যাবে না। যেসব মানুষ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে লকডাউন পর্বে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছেন, সরকারি ব্যবস্থায় অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে তাদের ন্যূনতম ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নজরদারিতে রাখতে হবে।
রাজ্যগুলিকে দেওয়া নির্দেশে কেন্দ্র আরও বলেছে, লকডাউনের এই পর্বে কোনও শ্রমিক বা ছাত্রছাত্রীদের থেকে বাড়িওয়ালা এক মাসের ভাড়া চাইতে পারবেন না। বাড়ি খালি করে চলে যেতেও বলা যাবে না। যদি তা হয়, তাহলে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।