পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এনটিপিসির এই প্রায় ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানার অভিযোগ করছেন আবেদনকারীরা। ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটিগরিসের প্রায় ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেলমন্ত্রক। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, এর প্রথম পর্যায়ের কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (সিবিটি) নেওয়া হবে ২০১৯ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এই পরীক্ষা নেয়নি আরআরবি। পরবর্তীক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিপিসির শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। সেইসময় রেলমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছিল, ২০২০ সালের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। কিন্তু বর্তমানের করোনা পরিস্থিতির জেরে পুরো প্রক্রিয়াটিই আপাতত ঠান্ডা ঘরে চলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন প্রায় দেড় কোটি পরীক্ষার্থী। করোনার জেরে তাঁদের ভবিষ্যৎই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে।
রেলের এই নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটিগরিসের শূন্যপদে আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট প্রার্থীরা আবেদন করেছেন। রেলের আধিকারিকদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতার মান কিছুটা কম থাকায় এত বেশি আবেদন জমা পড়েছে পরীক্ষায় বসতে চেয়ে। আন্ডার-গ্র্যাজুয়েটদের নির্ধারিত শূন্যপদের সংখ্যা ১০ হাজার ৬২৮টি। এর মধ্যে রয়েছে জুনিয়র ক্লার্ক-কাম-টাইপিস্ট, অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক-কাম-টাইপিস্ট, জুনিয়র টাইম কিপার, ট্রেনস ক্লার্ক এবং কমার্শিয়াল-কাম-টিকিট ক্লার্ক। সবথেকে বেশি শূন্যপদের সংখ্যা কমার্শিয়াল-কাম-টিকিট ক্লার্কের শূন্যপদেই। ৪ হাজার ৯৪০টি। অন্যদিকে, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটদের নির্ধারিত শূন্যপদের সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৪৯টি। এর মধ্যে রয়েছে ট্র্যাফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট, গুডস গার্ড, সিনিয়র কমার্শিয়াল-কাম-টিকিট ক্লার্ক, সিনিয়র ক্লার্ক-কাম-টাইপিস্ট, জুনিয়র অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট-কাম-টাইপিস্ট, সিনিয়র টাইম কিপার, কমার্শিয়াল অ্যাপ্রেন্টিস এবং স্টেশন মাস্টার। সবথেকে বেশি শূন্যপদ রয়েছে স্টেশন মাস্টার পোস্টেই। ৬ হাজার ৮৬৫টি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রেলমন্ত্রকের একজন শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, ‘এগজাম কন্ডাক্টিং এজেন্সি খোঁজার প্রক্রিয়াই বিলম্বিত হয়ে যাচ্ছে করোনার জন্য। আগামী জুন বা জুলাইয়ের আগে সম্ভবত এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার আয়োজন করা সম্ভব হবে না।’