নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকা মিলিয়ে দেশের ৯টি অঞ্চলে শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনও করোনা রোগী চিহ্নিত হয়নি। এর মধ্যে অন্যতম ত্রিপুরা। বাস্তবে, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে করোনা এখনও পর্যন্ত প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু মণিপুর ও মিজোরামে একজন করে রোগী চিহ্নিত হয়েছেন। মণিপুরের একমাত্র করোনা আক্রান্ত মহিলা চিকিৎসক লন্ডন থেকে ফেরার সময় কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি যে বিমানে ছিলেন সেটি আগরতলাও ছুঁয়ে গিয়েছিল। ওই বিমান থেকে আগরতলায় নামা যাত্রীদের আলাদা করে রেখে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে ত্রিপুরা সরকার। কারোরই করোনা পজিটিভ হয়নি বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এখনো করোনা প্রবেশ না করলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ চলছে। আগরতলা ও অন্য জেলাগুলিতে কয়েকটি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বিদেশ ও ভিন্ন রাজ্য থেকে আসা প্রায় হাজার দুয়েক লোককে বাড়িতে ও বিশেষ কেন্দ্রগুলিতে থাকতে বলা হয়েছে। ত্রিপুরার তিন দিকেই বাংলাদেশ সীমান্ত। সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গণ পরিবহণ বন্ধ থাকলেও অসমের দিক থেকে সড়কপথে ও রেলপথে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আনার ব্যবস্থা রয়েছে। আগরতলার সাধারণ মানুষের বক্তব্য, বাজারে এখনো নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী মিলছে। দাম যদিও কিছুটা বেড়েছে। বাড়ির কাছাকাছি ভ্যানে করে সব্জি নিয়ে সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য নিখরচায় বিশেষ খাবারের প্যাকেট আপাতত দেওয়া হবে বলেও সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ত্রিপুরার জন্য পাঠানো স্যানিটাইজার সহ কিছু সামগ্ৰী কলকাতায় আটকে গিয়েছিল। সেগুলি নিয়ে যাওয়ার জন্য ত্রিপুরা সরকার কলকাতায় হেলিকপ্টার পাঠায়।
ত্রিপুরার সরকারি অফিসগুলিতে জরুরি কাজের জন্য অল্প কিছু কর্মী ও আধিকারিক কাজ করছেন। বিশেষ রোস্টার তৈরি করে কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব তাঁর সরকারি আবাসনের ও সচিবালয়ের দপ্তর থেকে কাজ করছেন। ত্রিপুরার মানুষের বিশ্বাস, মা ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদে এখনো পর্যন্ত করোনা মুক্ত রয়েছেন তাঁরা। বিধি নিষেধ থাকার কারণে উদয়পুরের কাছে মাতাবাড়িতে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে দর্শনার্থীরা যেতে পারছেন না। তবে মন্দিরের নিত্যপুজো চলছে।