পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রেলের সমস্ত ফিল্ড কর্মীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান বি কে যাদবকে চিঠিও লিখেছেন রেলকর্মীদের একাধিক সংগঠন। এমনিতেই করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সারা দেশের প্রায় ২০ হাজার রেল কোচকে কোয়ারেন্টাইন শিবিরে পরিণত করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রেলমন্ত্রক। আজ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০টি কোচের একটি কোয়ারেন্টাইন রেক তৈরির জন্য প্রত্যেক রেলওয়ে জোনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেলের ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মীরা সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন বাড়ি থেকে কর্মস্থলে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে। কারণ লকডাউনের জেরে যাবতীয় পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অথচ নিয়মিত ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাঁদের প্রতিদিন কর্মস্থলে পৌঁছতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট জোনে প্রতিদিন যতজন প্রয়োজন, ঠিক ততজন ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণকারীকেই কর্মরত থাকার নির্দেশ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে মন্ত্রক। অভিযোগ, এই মুহূর্তের করোনা পরিস্থিতিতেও রেলের ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণকারীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। ফলে ওই কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন। রেলের কর্মী সংগঠনগুলির অভিযোগ, বিশেষ করে দিল্লি, ফিরোজপুর, আম্বালা, মোরাদাবাদ এবং লখনউ রেল ডিভিশনের ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মীরা সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, সমস্ত জোন এবং ডিভিশনের কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।
যদিও পশ্চিম রেলের তিনজন ট্র্যাক মেনটেনার্সের স্বেচ্ছা গৃহবন্দির খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে রেল। পশ্চিম রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে. ওই তিনজন কর্মীকে সিভিল হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হয়েছিল। কারণ তাঁরা জ্বর এবং শুকনো কাশিতে ভুগছিলেন। যদিও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁদের শরীরে কোনওরকম করোনা সংক্রমণ খুঁজে পাননি। তবে ঝুঁকি না নিয়ে তাঁদের স্বেচ্ছা গৃহবন্দির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিক কারণেই রেলের সংশ্লিষ্ট জোনের কর্মীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে একেকটি জোন ১০টি কোচের একটি কোয়ারেন্টাইন রেক তৈরি করবে। যেখানে কামরার মিডল বার্থগুলি খুলে ফেলা হচ্ছে। প্রতি কোচে ১০টি করে আইসোলেশন ওয়ার্ড থাকবে। একটি কম্পার্টমেন্টের মোট চারটি শৌচালয়কে মোট দু’টি বাথরুমে পরিণত করা হবে। যেখানে থাকবে একটি হ্যান্ড শাওয়ার, একটি বালতি এবং একটি মগ। পাশাপাশ আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত হওয়া কোচগুলিতে থাকতে চারটি করে বোতল রাখার জায়গাও। আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত হওয়া কোচগুলিতে থাকবে কনসালটেশন রুম, মেডিক্যাল স্টোর, আইসিইউ এবং প্যান্ট্রি। করোনা মোকাবিলায় যাতে কোয়ারেন্টাইন শিবিরের আকাল দেখা না দেয়, সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। পাশাপাশি রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২১ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত বাতিল ট্রেন টিকিটের পুরো রিফান্ড পাবেন যাত্রীরা।