কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মানুষ ঠিক মতো খবরের কাগজ পাচ্ছে না। আদালত বন্ধ থাকায় বিচারে বিলম্ব। অফিস বন্ধ থাকায় কোনও কাজ হচ্ছে না। স্বাধীনতার পর এ ধরনের পরিস্থিতি কোনওদিন হয়নি। তাই ২০০৫ সালের ‘বিপর্যয় মোকাবিলা আইন’ নয়, সংবিধানের ৩৬০ অনুচ্ছেদ মোতাবেক অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি হোক দাবি করে সর্বোচ্চ আদাতে মামলা করেছে সেন্টার ফর অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যান্ড সিস্টেমেটিক চেঞ্জ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁর আইনজীবী বিরাগ গুপ্তা বলেছেন, সার্বিকভাবে আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সবকিছুই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি হোক। তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশ জুড়ে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন লাগু করলেও বেশ কিছু রাজ্য এবং পুলিশ প্রশাসন নিজের মতো ১৪৪ ধারায় পদক্ষেপ নিচ্ছে। যা উচিত নয়।
অন্যদিকে, পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে লকডাউন পর্বে সাধারণের জন্য নিয়ম বেঁধে দেওয়ার আবেদন করেছেন জনৈক অমিত গোয়েল নামে এক আইনজীবী। লকডাউন পর্বে পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দা দুধ কিনতে গিয়ে পুলিশের মারে প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদনে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কারণ জানতে না চেয়েই রাস্তায় কাউকে দেখলেই পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে। তাই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হোক। যেমন, সবজি বাজার বন্ধ রেখে মুদিখানার দোকানেই তা বিক্রি হোক, তাহলে ভিড় কমবে। সপ্তাহে মাত্র একবার পরিবারের একজনকেই দোকান বাজার করার অনুমতি দেওয়া হোক।
সর্বোপরি এই সময়ে জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথার মতো কোনও সমস্যায় কেউ ওষুধ কিনতে এলেই তাঁকে অবিলম্বে করোনা ভাইরাসের টেস্ট করতে পাঠানো হোক। তাতে যেমন রাস্তায় ভিড় কমবে, তেমনই লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো যাবে। তৃতীয় মামলায় আবেদনকারী অলক শ্রীবাস্তবের আবেদন, লকডাউনের জেরে ভিনরাজ্যে কাজের সন্ধানে যাওয়া দিন মজুররা আতঙ্কিত। তাদের খাবার নেই। জল নেই। মিলছে না ওষুধ। নেই থাকার জায়গাও। উপরন্তু তাদের দিকে কেউ কেউ আঙুল তুলছেন, করোনার বাহক হিসেবে। এমতাবস্থায় অবিলম্বে তাদের জন্য কেন্দ্রকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট।