পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রবিবার মোদির ডাকা ‘জনতা কার্ফু’র পরই দেশজুড়ে লকডাউন। লক্ষ্য, করোনার সংক্রমণ আটকানো। কোনওভাবেই যাতে কোভিড-১৯ ভাইরাস কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করাই সরকারের উদ্দেশ্য। কিন্তু আচমকাই লকডাউনে ধাক্কা খেয়েছে পণ্য সরবরাহে। প্রভাব পড়েছে ওষুধ সরবরাহেও। দোকানে যা স্টক রয়েছে, তা ক্রমশ কমছে। যোগান কমে আসায় বাড়ছে উদ্বেগ। তাই তড়িঘড়ি রাজ্যগুলিকে উদ্যোগ নিতে চিঠি দিলেন ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির চেয়ারম্যান শুভ্র সিং।
রাজ্যের মুখ্যসচিবদের দেওয়া ওই চিঠিতে তিনি বলেছেন, ওষুধ তথা মেডিকেল সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা যেন কোনওভাবেই বন্ধ না হয়। ওষুধ মোড়ার প্যাকেট তৈরির কারখানার কর্মীরাও যেন কাজে বাধা না পায় তা সরকারকে দেখতে হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। রেল, বিমান সহ যাবতীয় সাধারণ পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও ওষুধ তথা মেডিকেল যন্ত্রপাতির সরবরাহ মসৃণ রাখতে প্রয়োজনীয় পরিবহণ চালু থাকবে। করোনার এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট ফর প্রোমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড এ ব্যাপারে একটি হেল্পডেক্স নাম্বার (০১১-২৩০৬২৪৮৭) চালু করেছে। ন্যাশনাল ফার্মাসিউক্যাল প্রাইসিং অথরিটিরও বিশেষ কন্ট্রোলরুম সহ একটি হেল্পলাইন নাম্বার (১৮০০১১১২৫৫) চালু করেছে। ওষুধ সরবরাহ বা মেডিকেলের যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে এখানে ফোন করা যাবে। অন্যদিকে, হাইড্রক্সিক্লোরেকুইনিন করোনা প্রতিরোধে কাজে দেয় বলে খবর ছড়াতেই আচমকাই এই ওষুধ বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। মূলত ম্যালেরিয়ার ওই ওষুধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমন মাথা ব্যথা, ডায়ারিয়া, বমি ভাব এমনকী হতে পারে হৃদপিণ্ডের সমস্যাও। তাই এই ওষুধ অহেতুক খাওয়া ঠিক নয় জানিয়ে আইসিএমআরের অন্যতম গবেষক ড. রমন গঙ্গাখেতকর বলেছেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন’ই করোনার ওষুধ, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তাই এই ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, যারা করোনার চিকিৎসা করছেন এবং যারা সরাসরি করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসছেন, কেবলমাত্র তাদেরই পরীক্ষামূলকভাবে ওই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সবার জন্য এই ওষুধ নয়। তাই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনওভাবেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাওয়া উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।