পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গুজরাতের বরোদায় যে মুম্বই-আমেদাবাদ হাইস্পিড রেল প্রজেক্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের হস্টেল ভবন রয়েছে, তাকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হবে। একইসঙ্গে রেলমন্ত্রক পরিকল্পনা করেছে, রেলের ৩০টি কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করা হবে। যেগুলি তৈরি করা হবে মন্ত্রকের ১৫টি ওয়ার্কশপে। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রের খবর, সারা দেশে রেলের প্রায় ২০ হাজার কোচকে কোয়ারেন্টাইন শিবিরে পরিণত করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। যাতে কোনও এলাকায় আচমকা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলে অবিলম্বে এ ধরনের রেল কোচ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মধ্যে নিয়ে আসা যায়। এ ব্যাপারে রেলবোর্ডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি) রাজেশ ডি বাজপেয়ি বলেছেন, ‘করোনা মোকাবিলার লক্ষ্যে রেল সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে। এ ধরনের যেকোনও প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।’ রেল সূত্রের খবর, আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করার পর একেকটি রেলওয়ে কোচে সর্বাধিক দু’জন করে ব্যক্তিকে রাখার পরিকল্পনা করেছে মন্ত্রক। যাতে প্রত্যেকের জন্য দুটো আলাদা শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।
দেশজোড়া ২১ দিনের লকডাউনের জেরে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করেছে রেলমন্ত্রক। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে শুধুমাত্র মালগাড়ি চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার দরুণ রেল চাইছে, ওই কোচগুলিকেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করতে। যাতে কোনওমতেই দেশে কোয়ারেন্টাইন কিংবা আইসোলেশন ওয়ার্ডের অভাব না হয়। এবং এই ইস্যুতেই আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। যে কোচগুলিতে এ ধরনের শিবির বা ওয়ার্ড তৈরি হবে, রেল পরিষেবা চালুর পর যদি সেইসব কোচে পুনরায় যাত্রী পরিবহণ শুরু হয়, তাহলে সংক্রমণ ছড়াবে কি না, সেই প্রশ্ন করছেন তাঁরা। যদিও এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছে রেলমন্ত্রক। তাদের ঘোষণা, স্যানিটাইজ করে সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত করার পরেই কোচগুলিকে পুনরায় ট্র্যাকে নামানো হবে।
রেল জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই আমেদাবাদ স্টেশনে এই হু এবং এফডিএ’র নির্দেশিকা মেনে পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে। মূলত সারফেস এবং এনভায়রনমেন্ট জীবাণুমুক্ত করার জন্যই সংশ্লিষ্ট পদ্ধতির প্রয়োগ হচ্ছে বেশি। এরই পাশাপাশি রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বরোদার সংশ্লিষ্ট হস্টেল ভবনে ১৬৮টি ঘর রয়েছে। যেখানে বিছানার সংখ্যা রয়েছে ৩৩৪টি। ১২টি কমন রুম রয়েছে। পুরো ভবনটিকেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হচ্ছে। অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করার জন্য যাতে সমস্ত রেল কর্মী এগিয়ে আসেন, সেই কারণে জোনগুলির কাছে আবেদন করেছে রেলবোর্ড।