কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইতিমধ্যেই সেই তহবিলে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দান করেছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথির তিনটি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন শুভেন্দু। ওই তিনটি ব্যাঙ্ক হল কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, কাঁথি কো-অপারেটিভ এগ্ৰিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ও বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। তিনটি ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান স্বয়ং শুভেন্দু। এই তিনটি ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা করে মোট ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, নিজের বিধায়ক তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে তিন লক্ষ টাকা দান করেছেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সেকথা জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুরোধ, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসুন। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁর দপ্তরের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি থেকে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা, নিজের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা, ব্যক্তিগতভাবে এক লক্ষ টাকা এবং তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় চলা একটি পত্রিকার তহবিল থেকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন। অন্যদিকে, আরেক তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ নিজের উদ্যোগে তাঁর অধীনস্থ একটি সংস্থার তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা এবং বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক নিজস্ব অর্থ থেকে এক লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলে দান করেন। ধনেখালির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অসীমা পাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ব্যক্তিগতভাবে দু’লক্ষ টাকা দান করেছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের প্রত্যেক সাংসদ নিজেদের সাংসদ এলাকার উন্নয়ন তহবিল থেকে অন্ততপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা এই ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সেক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন দলের বরিষ্ঠ সাংসদ সৌগত রায়। ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় তহবিল থেকেও এই ত্রাণ তহবিলে এক কোটি টাকা দিয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে শুধু তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা নন, এগিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দলই। প্রাক্তন মন্ত্রী বর্ষীয়ান সুভাষ নস্কর তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে এমপি ল্যাড থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভিও কিছু টাকা এই তহবিলে দান করবেন বলে সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে এই বিপর্যয়ে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন বিজেপি’র সাংসদ-বিধায়করাও। সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, লকেট চট্টোপাধ্যায় এক কোটি টাকা, সুভাষ সরকার এক কোটি টাকা, শান্তনু ঠাকুর এক কোটি টাকা, সৌমিত্র খান ৮০ লক্ষ টাকা, খগেন মুর্মু ৭০ লক্ষ, জ্যোতির্ময় সিং মাহাত ৫০ লক্ষ টাকা, কুনার হেমব্রম ৫০ লক্ষ টাকা, নিশীথ প্রামাণিক ৫০ লক্ষ টাকা, জন বারলা ৫০ লক্ষ টাকা, রাজু বিস্ত ৫০ লক্ষ টাকা, দেবশ্রী চৌধুরী ৫০ লক্ষ টাকা, জয়ন্ত রায় ৫০ লক্ষ টাকা, সুকান্ত মজুমদার ৩০ লক্ষ টাকা এবং বিধায়ক নীরজ জিম্বা তামাং হিসেবে এলাকায় উন্নয়ন তহবিল থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের বিধায়করাও তাঁদের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে অন্ততপক্ষে ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেবেন বলে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই দলের সব বিধায়ককে সেই পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত ইতিমধ্যেই ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি তাঁর সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর করোনা প্রতিরোধী তহবিলে ৩০ লক্ষ টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন।
এগিয়ে এসেছে বাম পরিষদীয় দলও। বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সহ ২৬ জন বাম বিধায়ক তাঁদের এলাকায় উন্নয়ন তহবিল থেকে ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকা করে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। উত্তর দমদমের সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য সেক্ষেত্রে নিজের এলাকার উন্নয়ন তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এগিয়ে এসেছে বেসরকারি ক্ষেত্রও। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব ২ লাখ টাকা দিয়েছে তহবিলে। সিএবি’র পক্ষ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী। অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও সুমিত রায় ১০ লক্ষ টাকা দান করেছেন।