কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২১ দিনের লকডাউন আগামীদিনে যে দীর্ঘায়িত হবে না, এই নিশ্চয়তা নেই। এই পরিস্থিতিতে সবথেকে সঙ্কটে পড়তে চলেছে দৈনিক মজুরিতে জীবন চালানো গরিব শ্রেণী। তাদের সুরাহা করতেই এই ঘোষণা। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা নামাঙ্কিত প্রকল্পে ৮০ কোটি মানুষের জন্য মাসে অতিরিক্ত ৫ কেজি করে চাল অথবা গম বিনামূল্যে প্রদান করা হবে আগামী তিনমাস ধরে। পাশাপাশি এক কেজি করে ডাল দেওয়া হবে প্রত্যেক পরিবারকে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি সম্মান প্রকল্পে ইতিমধ্যেই কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হয়। প্রত্যেক তিন মাস অন্তর ২ হাজার টাকা করে এই টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যায়। আজ অর্থমন্ত্রী বলেন, ওই কিস্তির ২ হাজার টাকা পাওয়া যাবে এপ্রিলেই। ৮ কোটি ৬৯ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় আছেন। অর্থমন্ত্রী আজ বলেছেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। ১৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ২০২ টাকা। এর ফলে ৫ কোটি পরিবার লাভবান হবে। ষাটোর্ধ্ব বিধবা, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ হাজার টাকার একটি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে স্থির হয়েছে।
পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উজ্জ্বলা যোজনায় সস্তায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ পাওয়া মহিলাদের আগামী তিন মাস বিনামূল্যে মাসে একটি করে সিলিন্ডার দেওয়া হবে। ৮ কোটি মহিলা লাভবান হবে এই সহায়তায়। যে দরিদ্র মহিলাদের জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে, তাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে আগামী তিন মাসে। দেশের প্রায় ৭ কোটি মহিলা যুক্ত আছেন স্বনিযুক্তি প্রকল্পে। তাঁরা সাধারণত ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্কঋণ পেতে পারেন। এই সঙ্কটের সময়ে সেই ঋণপ্রাপ্তির সীমা বৃদ্ধি করে ২০ লক্ষ টাকা করা হল।
বিশেষ সহায়তা করা হচ্ছে সংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের। যে সংস্থার কর্মী সংখ্যা ১০০ জনের কম, সেই সংস্থার কোনও কর্মীর বেতন যদি ১৫ হাজার টাকার নীচে হয়, তা হলে আগামী তিন মাস ধরে তাঁর প্রদেয় প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থ সরকারই প্রদান করবে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, কর্মীদের নিজেদের অংশের বেতনের ১২ শতাংশ এবং সংস্থার প্রদেয় ১২ শতাংশ, ইপিএফ কন্ট্রিবিউশনের এই দুই অংশই আগামী তিনমাস কেন্দ্র দেবে। পাশাপাশি প্রভিডেন্ড ফান্ড থেকে ৭৫ শতাংশ জমা অর্থ ঋণ নেওয়া যাবে, যা ফেরত দিতে হবে না। নির্মাণকর্মীদের জন্য ইতিমধ্যেই একটি তহবিল রয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। রাজ্যগুলিকে আজ বলা হয়েছে ওই টাকা থেকে সহায়তা করার জন্য নির্মাণ কর্মীদের। একইভাবে জেলা মিনারেলস তহবিলে থাকা ২৫ হাজার কোটি টাকাও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে আজ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
আজ ঘোষিত প্রকল্পে প্রতিটি সহায়তাই দেওয়া হবে ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফারের মাধ্যমে। তাই প্রশ্ন উঠছে, যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই নেই, তাদের কী হবে? অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘এরকম হলে আমরা অবশ্যই ভেবে দেখব কী করা যায়।’