পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তাঁদের একাংশের কথায়, মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ভারতের পক্ষে সময়টা শুভ নয়। কারণ ভারতের রাশি মকর। এই রাশিতে শনি ও মঙ্গলের সহাবস্থানের ফলে বড় কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রচুর প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকে। করোনা তেমনই একটি বিপর্যয়। তবে এখানেই যে বিপর্যয় শেষ হবে, তা নয়। আগামী আড়াই বছর ধরে দেশের কোথাও না কোথাও নানা বিপর্যয় বা দুর্ঘটনা ঘটেই চলবে। করোনার প্রভাবও আগামী দু’মাস বজায় থাকবে। কারণ মে মাসে মকর থেকে সরে যাবে মঙ্গল। তারপর ধীরে ধীরে কাটবে সেই সমস্যা। এ তো গেল ভারতের কথা। পশ্চিমবঙ্গ কতটা সমস্যায় পড়তে পারে? জ্যোতিষীদের একাংশের বক্তব্য, কলকাতা সহ এই রাজ্য ধনু রাশির অন্তর্গত। কিন্তু শনি ধনু রাশি ছেড়ে মকরে চলে যাওয়ায় এখানে সঙ্কট তীব্র না হওয়ার কথা।
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ কিংবদন্তী গৌতমের কথায়, ভারতের রাশি মকর। চলতি বছরে এই রাশিতে সঙ্কট রয়েছে, এমন কথা বলা হয়েছে আগেই। ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে সেই সঙ্কট ভালোভাবে প্রভাব ফেলেছে। করোনা তার অন্যতম প্রমাণ। আগামী মাসেও তা থাকবে। তাঁর কথায়, হয়তো বছর জুড়েই সঙ্কটের প্রভাব চলবে। জ্যোতিষবিদ প্রিয়াঙ্কার কথায়, করোনা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি চিকিৎসা শাস্ত্র ও বিজ্ঞানের বিষয়। কিন্তু তার সঙ্গে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান এড়িয়ে যাওয়া যায় না বলেই আমার মনে হয়। এখন বৃহস্পতির সঙ্গে কেতু অবস্থান করছে। কেতুকে আমরা যে কোনও সংক্রমণের হোতা হিসেবেই জানি। ফলে সময়টা ভালো নয়। ২১ মার্চের পর মঙ্গল ও শনি একসঙ্গে থাকবে। এটিও অঘটন ঘটানোর জন্য উপযুক্ত। সেই সমস্যা চলবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত। তারপর থেকে সেখানে বৃহস্পতি আসছে। অর্থাৎ পরিস্থিতি একটু ভালোর দিকে যাবে।
কী বলছেন পঞ্জিকা বিশারদরা? গুপ্ত প্রেসের উপদেষ্টা এবং সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুশারীর কথায়, বিশ্বে শনির মহাদশা চলছে। করোনা হয়তো তারই প্রভাব। তবে ১৭২০ সাল থেকে প্রতিটি শতকের কুড়ি সালে কিন্তু প্লেগ বা কলেরা লক্ষ লক্ষ প্রাণ কেড়েছে। এবারও সেই ২০ সাল। ফলে মহামারির আশঙ্কা ছিলই। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বাইরের আক্রমণ আটকাতে কীভাবে প্রতিষেধক নিতে হবে। চরক সংহিতায় প্রতিষেধক হিসেবে শরীরকে তৈরি রাখার যে নিয়ম বলা আছে, তার মূল কথা হল সংযম। কীভাবে তা সম্ভব? উপায়গুলি হল, যোগ বা নিরন্তর কাজে নিজেকে যুক্ত রাখা। শুচিতা বজায় রাখা। নিত্য স্নান। তা দিনে তিনবার হলে ভালো হয়। সরল জীবনযাপন। পরনিন্দা থেকে সরে আসা। বিভিন্ন শাস্ত্রে কিন্তু আলস্য, নিন্দ্রা, তন্দ্রাভাব, ক্রোধ, অনিষ্ঠতাজনিত উদ্বেগ বা কোনও কাজের জন্য মানসিক দীর্ঘসূত্রিতাকে সংযমের বিপরীত হিসেবেই ধরা হয়েছে। এগুলি থেকে সরে আসা দরকার সবারই।
পঞ্জিকা সম্পাদক চৈতন্যময় নন্দ বলেন, পৃথিবীজুড়ে যে মহামারী চলছে, তার কথা কোনও জ্যোতিষ বিশারদ কিন্তু আগে বলেননি। এখন অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারেন। ওড়িশার অচ্যুতানন্দ কয়েক শতক আগে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ওড়িশা নিয়ে, তা অনেকটাই এখন মিলে যাচ্ছে। আবার প্রভু জগৎবন্ধুসুন্দর বাংলা নিয়ে যে কথা বলেছিলেন, তাও মিলছে। এই ধরনের প্রবাদপ্রতীম জ্যোতিষদের মতো এখন তেমন কেউ আছেন কি?