গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গতকাল রাত ৮টায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, করোনা মোকাবিলায় বুধবার থেকে আগামী ২১ দিন সারা দেশে সম্পূর্ণ লকডাউন করা হচ্ছে। অর্থাৎ যে সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ এপ্রিল। করোনা সংক্রমণ আটকাতে এর আগেই রেলমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। এর মধ্যে যেমন প্রিমিয়াম ট্রেন সহ দূরপাল্লার যাবতীয় মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার এবং ইন্টারসিটি ট্রেন রয়েছে, তেমনই তালিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কলকাতা মেট্রো এবং শহর ও শহরতলির লোকাল ট্রেন পরিষেবাও। শুধুমাত্র মালগাড়ি চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন সংক্রান্ত ঘোষণার পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে রেলবোর্ডের অন্যতম যুগ্ম-অধিকর্তা এ পি সিং জানিয়ে দিয়েছেন, সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল থাকার সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হচ্ছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে সমস্ত ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রেন চলবে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ রেলবোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইন এবং পিআরএস কাউন্টারে যাবতীয় সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত ট্রেন টিকিট বুকিং করা যাবে না। ওই সময় পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে রেলের সমস্ত টিকিট বুকিং কাউন্টারগুলিও। তবে এরই পাশাপাশি রেল জানিয়েছে, যাঁরা ১৪ এপ্রিলের পরে ট্রেন টিকিট কাটতে চান, তাঁরা বর্তমানে অনলাইনে তা বুক করতে পারবেন। ১৪ এপ্রিলের পরের ই-টিকিট বুকিংয়ে কোনও সমস্যায় যাত্রীদের পড়তে হবে না। এবং এই প্রসঙ্গেই টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে রেলযাত্রীদের সচেতন করতে উদ্যোগী হচ্ছে রেলমন্ত্রক।
আজ এ ব্যাপারে আইআরসিটিসির জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং বলেছেন, ‘১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত ট্রেন বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে এমনিতেই সেইসব ট্রেনের যাত্রীরা পুরো রিফান্ড পাবেন। কিন্তু অনেকেই আগেভাগে টিকিট বাতিল করে দিচ্ছেন। আমরা এটা করতেই নিষেধ করছি। কারণ নির্দিষ্ট কোনও ট্রেন বাতিলের তথ্য যতক্ষণ পর্যন্ত পিআরএসে না আসছে, ততক্ষণ পুরো রিফান্ড যাত্রীরা পাবেন না। ফলে তাঁদের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ট্রেন বাতিল হলে যাত্রীরা স্বাভাবিক নিয়মেই পুরো রিফান্ড পাবেন।’ ইতিমধ্যেই অবশ্য বুকিং কাউন্টার থেকে টিকিট দেখিয়ে রিফান্ড নেওয়ার সময়সীমা ৭২ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে তিন মাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।