কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সংশ্লিষ্ট স্মারকলিপিতে সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, আরজেডির মনোজকুমার ঝা, এনসিপির প্রফুল্ল প্যাটেল, ডিএমকের টি আর বালু, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শারদ যাদব এবং আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং একযোগে রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানিয়েছেন, দিল্লিতে যাতে অবিলম্বে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসে, সেই ব্যাপারে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে নির্দেশ দিন। একইসঙ্গে সংঘর্ষের জেরে গৃহহারাদের জন্য রিলিফ ক্যাম্প খোলার আর্জিও জানিয়েছেন অবিজেপি দলগুলির নেতৃত্ব। স্মারকলিপিতে তাঁরা লিখেছেন, সেইসব রিলিফ ক্যাম্পে যাতে ফের হামলা না হয়, সেই কারণে সেগুলিতেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। এমনকী রাজনৈতিক দলগুলিকেও অনুমতি দেওয়া হোক, যাতে তারা সংঘর্ষ বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করতে পারে। নিহত এবং আহতদের পাশাপাশি যাঁদের ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি ক্ষতি হয়েছে, তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। বিভীষিকা থেকে মুক্তির জন্য ট্রমা সেন্টার খোলারও আর্জি জানিয়েছেন ইয়েচুরিরা।
একইসঙ্গে এদিন সিপিএম পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে দিল্লির ঘটনার নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়েছে। তারা বলেছে, যেহেতু সংঘর্ষের ঘটনায় দিল্লি পুলিসের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে, তাই কেন্দ্রীয় সরকার হয় সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতিকে দিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের ব্যাপারে সায় দিক, অথবা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতেই সার্বিক তদন্ত চলুক। অন্যদিকে, দিল্লির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন রাজঘাটে ধর্না বিক্ষোভে শামিল হয় সিপিএম সহ পাঁচটি বাম দল। যম্তরমন্তরেও প্রতিবাদ অবস্থান করে বাম দলগুলি। দিল্লি সহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির অভিযোগ তুলে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি, মহম্মদ সেলিম।