বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গতকালই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার ব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্টের কাছে সময় চেয়ে নিয়েছে দিল্লি পুলিস। শুক্রবার আইনজীবীদের একটা অংশ সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, দিল্লির উপমু্খ্যমন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়া, আম আদমি পার্টি (আপ)-এর বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খান, এআইএমআইএম নেতা আকবরউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জিও রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের জবাব চেয়ে এদিন নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং বিচারপতি সি হরিশঙ্করকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ। একইসঙ্গে এফআইআর দায়ের করার প্রশ্নে দিল্লির আপ সরকার ও দিল্লি পুলিসের অবস্থান স্পষ্ট করতেও নোটিস ইস্যু করেছে বেঞ্চ। রাজনৈতিক নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য খতিয়ে দেখতে আদালতের কাছে সিট গঠনেরও আবেদন করেছিলেন মামলাকারীরা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের অবস্থান জানাতে বলেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, উস্কানিমূলক মন্তব্য সংক্রান্ত আরও তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। সঞ্জীব কুমার, ‘হিন্দু সেনা’ সংগঠনের নেতা বিষ্ণু গুপ্তা এবং ভীম আর্মির সুপ্রিমো চন্দ্রশেখর আজাদ উস্কানিমূলক মন্তব্যে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি তুলেছেন। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতেও কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে নোটিস ধরিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আপ নেতা আমানাতুল্লাহ খান, রেডিও জকি শ্যামা এবং বলিউড তারকা স্বরা ভাস্কর এবং সমাজকর্মী হর্ষ মন্দারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জি জানিয়েছেন কুমার। উল্লেখ্য, হর্ষ আগেই বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, পরবেশ ভার্মা এবং কপিল মিশ্রর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করার আবেদন রেখেছিলেন আদালতে। হর্ষর বিরুদ্ধে এদিন এফআইআর দায়ের করার দাবি তোলার পাশাপাশি দিল্লির হিংসার ঘটনার তদন্তে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)-কে দিয়ে তদন্ত করানোরও আর্জি রেখেছেন কুমার।