দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আপ কাউন্সিলার তাহির হুসেন। বুধবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির চাঁদবাগ এলাকায় তাহিরের বাড়ির কাছ থেকে আইবিতে কর্মরত অঙ্কিত শর্মার দেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। মৃত ওই গোয়েন্দার পরিবারের অভিযোগ, আপ নেতা ও তাঁর সহযোগীরা অঙ্কিতকে খুন করেছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করে তাহিরের দাবি, এক ব্যক্তির খুনের ব্যাপারে আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ২৪ তারিখ থেকেই আমি ঘরছাড়া। পরিবারকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছি। কোনওভাবেই হিংসা বা খুনের সঙ্গে যুক্ত নই। কয়েকজন দুষ্কৃতী আমার বাড়ি দখল করে নিয়েছে। গোটা বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে, নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করলেও বৃহস্পতিবার তাহির হুসেনের বাড়ি থেকে রাসায়নিক ভর্তি বেশ কিছু প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে। এতে অ্যাসিড রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও তাঁর বাড়ির ছাদ থেকে পেট্রল বোমা ও বিপুল পরিমাণ পাথর পাওয়া গিয়েছিল বলে খবর। দিল্লি পুলিস তাহিরের খাজুরি খাস এলাকার ফ্যাক্টরি সিল করে দিয়েছে। পাশাপাশি, একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির ছাদে তাহির ঘোরাঘুরি করছেন। তাঁর সমর্থকরা পাথর ছুঁড়ছে। তাহিরের প্রতিবেশীদের অভিযোগ, আপ নেতার বাড়ির ছাদ থেকে পেট্রল বোমা ছোঁড়া হয়। এপ্রসঙ্গে আপনেতার কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, তাহিরের বাড়িকে হিংসা ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি জানান, একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাহির সরাসরি হিংসায় যুক্ত। কিন্তু আপ ও কংগ্রেস দুই দলই এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। অপরদিকে, আপ কাউন্সিলার তাহিরই আইবি কর্মীকে খুন করেছেন বলে দাবি বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর। তাঁর বিরুদ্ধেও হিংসায় উস্কানি দেওয়ায় অভিযোগ রয়েছে। ট্যুইটারে মিশ্র বলেন, তাহির হুসেন একজন খুনি। অঙ্কিত শর্মা সহ চার যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাহির মুখোশ পরা কয়েকজন যুবককে নিয়ে ঘুরছে। তাদের কাছে লাঠি, পাথর, বুলেট ও পেট্রল বোমা রয়েছে। সেই সময় তাহির একটানা কেজরিওয়াল এবং আপ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থক ও বিরোধীদের সংঘাতে আগুল জ্বলছে দিল্লিতে। বুধবার পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। এছাড়া সংঘর্ষে ২০০ জনের বেশি জখম হয়েছেন।