পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিএএ লাগু করার প্রক্রিয়া শুরুর পর ইজেডসি’র অন্তর্গত চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একমাত্র নবীন পট্টনায়েক ভিন্ন অবস্থানে থাকলেও, নীতীশ কুমার এবং হেমন্ত সোরেন তার বিরোধিতা করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি সরব হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে নিজের রাজ্যে কার্যকর না করার স্পষ্ট বার্তাও দিয়েছেন মমতা। এমনকী দিল্লির হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তি কামনায় জগন্নাথদেবের কাছে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন মমতা। হিংসা নিয়ে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠাকে কবিতায় ব্যক্তও করেছেন তিনি। তবে এদিন সকালে ফেসবুকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যা পোস্ট করেছেন, তা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুরুতে বড় আকারের একটি প্রশ্নচিহ্ন দিয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে মমতা এদিন লিখেছেন—তিনি এলেন, বললেন এবং চলে গেলেন/আমার মাতৃভূমি জ্বলতে থাকল/বিচলিত, শঙ্কিত, উদ্বিগ্ন হৃদয় আমার ক্রন্দনরত/ মৃত্যুমিছিল বেড়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রতিবাদী বার্তায় বর্ণিত ‘তিনি’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে সিএএ পরবর্তী পর্যায়ে এই প্রথম অমিত শাহের সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ এবং একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হওয়াটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে মমতার বৈঠকের সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে ওড়িশা সচিবালয়ের তরফে।
কোন কোন বিষয় নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ ইজেডসি’র বৈঠক, তার একটা আভাস এদিন দেওয়া হয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) তরফে। ওড়িয়া ভাষায় লেখা ওই নোটে পিআইবি জানিয়েছে, ইজেডসি’র বৈঠকে ৫০টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যে সীমান্তে গবাদি পশু পাচার, জলাধার ও নদীর জলবণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে বিবাদের সমাধানসূত্র নির্ধারণ, কয়লার রয়্যালটি বণ্টন, পেট্রপণ্যের সেস-এ কেন্দ্র ও রাজ্যের অনুপাত, বকেয়া রেলপ্রকল্প, টেলি যোগাযোগ, গ্রামীণ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সীমান্ত সমন্বয় ও বনাধিকার আইন প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গা ও মহানন্দার জলবণ্টন নিয়ে বিহারের সঙ্গে এবং গালুডি সহ অন্য জলাধারগুলি নিয়ে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে চলা সমস্যা নির্ধারণের প্রয়াস চালানো হবে বৈঠকে। এরই সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ হ্রাসে উদ্ভূত সমস্যা নিয়েও সরব হবেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকায় মাওবাদী উপদ্রব কমলেও, প্রতিবেশী রাজ্যলগুলি থেকে সঙ্ঘঠিত হয়ে নতুন করে পশ্চিমবঙ্গে আনাগোনা শুরুর প্রয়াস নিয়েও ইজেডসি’র বৈঠকে সরব হবে নবান্ন।