দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
দিল্লি হিংসার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিচারপতি এস মুরলীধরের নেতৃত্বে তাঁর বাসভবনে কোর্ট বসিয়েছিলেন দুই বিচারপতি। সেখানে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য কেন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হল না, এই প্রশ্ন তুলে তাঁরা দিল্লি পুলিসকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন। সেইসঙ্গে বেঞ্চ বলেছিল, আর একবার ১৯৮৪’র দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যায় না। এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানেই সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিসকে চার সপ্তাহ দিয়েছে বিচারপতি প্যাটেল ও বিচারপতি শঙ্করের বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ এপ্রিল।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য হাইকোর্টে আগেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেখানেই বিজেপির তিন নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আবেদন করা হয়। এদিন সংশ্লিষ্ট মামলায় কেন্দ্রকে পক্ষ হিসেবে যোগ করার আবেদন জানান সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। আদালত তা মঞ্জুর করার পরে কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিসকে জবাব দিতে চার সপ্তাহ দেয়। সেইসঙ্গে মেহতা জানান, হিংসাকে ঘিরে অগ্নিসংযোগ, লুট ও মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪৮টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, ‘ওই তিনটি ভিডিও ছাড়া আমরা আরও ভিডিও পেয়েছি। মন্তব্য নিয়ে বাছবিচার করতে পারি না। আর এই পরিস্থিতিতে এফআইআর দায়ের করা যায় না। যথাযথ সময়ে পুলিস পদক্ষেপ নেবে।’ দিল্লি পুলিস যেহেতু কেন্দ্রের হাতে, তাই এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্বও মোদি সরকারের বলেও জানিয়েছেন মেহতা। প্রসঙ্গত, সিএএ কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ছড়ানো হিংসায় ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন।