দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বিচারপতি বদলি ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ট্যুইট করে তিনি বলেন, মধ্যরাতে বিচারপতির এই বদলির নির্দেশ বর্তমান পরিস্থিতিতে মোটেই আশ্চর্যজনক নয়। কিন্তু, এটি একটি অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জাজনক ঘটনা। প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, বিচার ব্যবস্থার উপর ভারতের লক্ষ লক্ষ নাগরিক আস্থাশীল। কিন্তু, সরকার গোটা ব্যবস্থার কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। এতে সাধারণ মানুষের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একই সুরে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, বিচারপতি সরকারকে রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলেন। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলায় রাতারাতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিচারপতি মুরলীধরকে সরিয়ে দেওয়া হল। দেশে যাঁরাই সঠিক আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছেন, তাঁদের কড়া মাসুল গুনতে হচ্ছে।’ পাশাপাশি, শুধু বিচারপতি বদলে বিজেপি দোষীদের বাঁচাতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এই ইস্যুতে সরকারের তরফে আসরে নামেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। কংগ্রেসের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে তিনি পাল্টা বলেন, ‘সবটাই রুটিনমাফিক হয়েছে। কংগ্রেস অকারণে গোটা বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসেছিল কলেজিয়াম। তারাই বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ করেছিল। এমনকী, বদলির আগে সংশ্লিষ্ট বিচারপতির সম্মতিও নেওয়া হয়েছে। দিল্লির হিংসা নিয়ে বিচারপতি মুরলীধরের বক্তব্যের সঙ্গে বদলির ঘটনার যে কোনও যোগ নেই, তাও পরোক্ষে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
যদিও, গোটা বিষয়টি কাকতালীয় হিসেবে দেখতে নারাজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিচারপতি ব্রিজগোপাল হরকিষণ লোয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন রাহুল। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘বিচারপতি লোয়ার কথা মনে পড়ছে। তাঁকে বদলি করা হয়নি।’ ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর রহস্যজনক পরিস্থিতির মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির ট্যুইটের পাল্টা দিয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদও। তিনি বলেন, বিচারপতি লোয়ার মৃত্যু নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই রায় দিয়েছে। যাঁরা এই নিয়ে প্রশ্ন করছেন, তাঁদের বিচার ব্যবস্থার উপর বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই। এরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘রাহুল কি নিজেকে সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে বলে মনে করেন?’ এদিন, কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে গিয়ে দেশে জরুরি অবস্থার সময় সুপ্রিম কোর্ট ও বিচারপতিদের উপর নিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। রবিশঙ্করের অভিযোগ, আদালতের রায় নিজেদের পক্ষে না গেলেই কংগ্রেসিরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। যা নিয়ে এদিন দিনভর রাজনৈতিক তরজা চরমে ওঠে।