দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
গত ৭৫ দিন ধরে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধিতায় গুরুত্বপূর্ণ কালিন্দীকুঞ্জ রোড অবরুদ্ধ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন জামিয়া নগর শাহিনবাগের স্থানীয় মহিলা বাসিন্দারা। শাহিনবাগের আন্দোলন নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট তিনজন মধ্যস্থতাকারীকে নিয়োগ করলেও, তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পরের পর আলোচনাতেও কোনও সমাধানসূত্র বেরয়নি। এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ২৩ মার্চ নির্ধারিত হলেও গতকাল ফের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার কেউ কেড়ে না নিলেও এভাবে রাস্তা আটকে দিনের পর দিন আন্দোলন চালানো যায় না। কিন্তু তাতেও নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও সরে আসার কথা বলছেন না আন্দোলনকারীরা। কার্যত শাহিনবাগ-মডেলেই গত শনিবার রাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদে রাস্তা আটকে আন্দোলনে বসেছিলেন এলাকার মহিলারা। এবং যাকে কেন্দ্র করে গত রবিবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। যার পরিণতি, দিল্লির এই নজিরবিহীন হিংসা। উত্তর-পূর্ব দিল্লির সংঘর্ষের কোনও প্রভাব কি পড়তে পারে শাহিনবাগের উপরও? আপনারা কি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ভয় পাচ্ছেন? প্রশ্ন করায় প্রতিবাদীদের অন্যতম ফরমান মালিক, তৌকির আহমেদরা বললেন, ‘আমাদের কোনও ভয় নেই। আমরা ভয় পাব কেন? গত ৭৫ দিনে শাহিনবাগের এই মঞ্চ থেকে একটিও হিংসাত্মক কথা কাউকে বলতে শুনেছেন? বা রাজনীতির আলোচনা হতে দেখেছেন? উল্টে মনে হচ্ছে, সরকার আমাদের ভয় পাচ্ছে। তাই আমরা বারবার চাইলেও কোনও সরকারি প্রতিনিধিকে পাঠানো হচ্ছে না। এমনকী আমাদেরও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
শাহিনবাগ চত্বরে গত কয়েকদিন ধরেই ইন্ডিয়া গেটের একটি বিশালাকার মডেল তৈরি করে রাখা হয়েছে। আজ অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে দেখা গেল, সেখানেও মজুত রয়েছে ইন্ডিয়া গেটের একটি ছোট রেপ্লিকা। তার নীচে লেখা, ‘আই লাভ মাই ইন্ডিয়া’। মঞ্চের নীচে ঠায় বসে রয়েছেন এলাকার মহিলারা। রয়েছেন শাহিনবাগের ‘দাদি’রাও। সাধারণ মানুষকে ঘুরে যেতে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী অন্য রাস্তা দিয়ে। মূল রাস্তায় ঢোকার মুখেই বসানো হয়েছে ডোর মেটাল ফ্রেম। পুলিসকর্মীরা জানালেন, দিল্লির সংঘর্ষের ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে।