দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
মৌজপুর, জাফরাবাদ, চাঁদবাগ, যমুনা বিহার এবং অন্য এলাকায় নতুন করে অশান্তি ছড়ায়নি। পর্যাপ্ত পুলিস এবং আধাসেনার রুটমার্চ ছাড়া পুরো এলাকা জনমানব শূন্য। পুলিস হ্যান্ড মাইকে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছে। কোনওরকম অভিযোগ থাকলে নির্ভয়ে তাদের কাছে এসে জানাতে বলছেন পুলিস কর্তারা। কিন্তু সাহস করে কেউ এগিয়ে আসছেন না। তবে, বিভিন্ন টিভি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলছেন অনেকেই। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন পুলিসের বিরুদ্ধে। সোমবার যখন প্রথম হামলা হয়, তখন পুলিস কেন এত নিষ্ক্রিয় ছিল? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
টিভি চ্যানেলের দৌলতে সংঘর্ষের পর মৌজপুর, জাফরাবাদ এলাকার প্রকৃত চিত্র উঠে আসতে শুরু করেছে। রাস্তাজুড়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া গাড়ি। ছাই হয়ে গিয়েছে বাড়ি-দোকান। হাহাকারের মধ্যেই ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনেকে বলছেন, দিল্লি পুলিস তাঁদের জন্য কিছুই করেনি। সোমবার যখন উন্মত্ত জনতা তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, দোকান লুট করার পর আগুন ধরিয়ে দেয়, তখন কোথাও একজন পুলিসকর্মীকে দেখা যায়নি। অথচ, এই এলাকাগুলি দিল্লি পুলিসের সদর দপ্তর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে। ভজনপুরা এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পের মালিক জানান, ‘১০ থেকে ২০ জনের একটি দল হঠাৎ হামলা চালায়। ভাঙচুরের পর সব টাকা লুট করে। কোনওরকমে পালিয়ে গিয়ে সেদিন প্রাণে বেঁচেছিলাম। পুলিসে খবর দেওয়া হলেও কোনও লাভ হয়নি। যখন কয়েকশো হামলাকারী এলাকায় ঢুকে পড়ে, তখন পুলিস ভয়ে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েছিল। বাকিরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। হামলাকারীরা বিনা বাধায় তাণ্ডব চালায়। পুলিসকে হামলাকারীদের রোখার অনুরোধ করলে তারা জানায়, উপর থেকে নির্দেশ আসেনি। উল্টে নিজেদের প্রাণ নিজেদের বাঁচানোর পরামর্শ দেয় পুলিস।’
যমুনা বিহারের এক রেস্তরাঁর মালিক জানান, ‘সোমবার আমার উপর হামলা হয়। হামলাকারীরা এসে আমার রেস্তরাঁর শাটার টেনে নামিয়ে দেয়। তারপর পেট্রলবোমা ছুঁড়তে শুরু করে। ঘটনাস্থলে তখন ৪০ থেকে ৫০ জন পুলিসকর্মী দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি পুলিস অফিসারের কাছে গিয়ে বলি, কিছু একটা করুন। না হলে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। তাঁরা আমাকে বলেন, কিছু করার অর্ডার নেই। চোখের সামনে সব কিছু পুড়ে গেল। ঋণ নিয়ে দোকান করেছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল। নেতারা নিজেদের স্বার্থ দেখছে। আমাদের জন্য কেউ নেই।’ এত অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিসের কোনও বক্তব্য নেই। বরং দিল্লি পুলিসের স্পেশাল কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ‘মানুষের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা চলছে। পুলিস সাধারণ মানুষের সাহায্য করতে সদা প্রস্তুত।’