গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জাফরাবাদ, গোকুলপুর, কারওয়াল নগর, মৌজপুর, সিলমপুর, চাঁদবাগের মতো উত্তর পূর্ব দিল্লির হিংসা উপদ্রুত এলাকাগুলিতে চলছে আধা সেনার রুটমার্চ। দিল্লির স্পেশাল কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আমরা এখন মামলা রুজু করছি। শীঘ্রই জড়িতদের গ্রেপ্তার করা শুরু করব’।
এদিকে আজই এক কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, গত সোমবার সোনিয়া বিহারের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া ওই কিশোরী খাজুরি খাস এলাকায় স্কুলে গিয়েছিল। বিকেলের দিকে অশান্তি বাড়তে থাকায় স্কুল ছুটির বেশ কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছন তার বাবা। হদিশ মেলেনি মেয়ের। ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিসে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তিনি। পুলিসের দাবি, তারা খোঁজ চালাচ্ছে। চারদিন ধরে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন তার অভিভাবকরা।
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয় কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। তাতে ছিলেন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধী। স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনমোহন সিং বলেন, ‘দিল্লিতে হিংসার ঘটনা জাতীয় লজ্জা। কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা প্রকট হয়ে গিয়েছে’। অন্যদিকে, কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে এক বন্ধনীতে ফেলে তীব্র আক্রমণ করেছেন সোনিয়া। বিজেপির পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে জবাব দেওয়া হলেও চুপ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করেছেন তিনি। তাতে হিংসা-ধ্বস্ত এলাকাগুলিতে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।