পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আজ এই আক্রমণকে জোরদার করতেই সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি কিন্তু সম্পূর্ণ সুকৌশলে সরাসরি অমিত শাহকেই দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে প্রস্তাব পাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ কিন্তু সোনিয়া গান্ধী চাইলেন না। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা তথা প্রশাসন পরিচালনায় যে আদতে অমিত শাহ ব্যর্থ, এটাই প্রমাণ করার প্রয়াস করছে কংগ্রেস। যদিও সেনাবাহিনীকে না ডাকার কারণ হিসেবে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, সেনাবাহিনী নামানোর জন্য আনুষ্ঠানিক যে আবেদন করতে হয় সেটি করেন জেলাশাসক। এক্ষেত্রে দিল্লির সাহাদারা জেলার জেলাশাসকের দপ্তর কিংবা দিল্লি সরকারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের আবেদন করেনি। ১২৯ ধারা অনুযায়ী এটাই নিয়ম। আম আদমি পার্টি এই দাবিকে নস্যাৎ করে বলেছে, আইনশৃঙ্খলা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। শুধু দিল্লির মতো রাজ্যে সেনা নামানোর অধিকারও কেন্দ্রের হাতে রয়েছে পুরোদস্তুর। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরই সেনাবাহিনী নামানোর আবেদন করেছিলেন। তাহলে কেন সেনা নামানো হয়নি? সেনা নামালে এত প্রাণহানি হত না। আপ এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা কোনও সক্রিয়তা না দেখায়। কারণ এই গোলমাল সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত।
এরকম যে হবে সেকথা নাকি পুলিশকেও জানিয়ে রাখা হয়েছিল .বলে দাবি করেছে আম আদমি পার্টি। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মধ্যেও বিভাজন রয়েছে দিল্লি নিয়ে। একদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি বলেছেন, এই ঘটনার পিছনে ইন্ধন রয়েছে কোনও শক্তির। বিরোধীদের চক্রান্ত। অন্যদিকে অমিত শাহ বলেছেন, এটা হঠাৎ করেই তৈরি হওয়া টেনশন। ক্রমেই ছড়িয়েছে। বস্তুত গতকাল রাত পর্যন্ত অজিত দোভাল, অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যস্ত ছিলেন একের পর এক ডোনাল্ড ট্রাম্প সংক্রান্ত কর্মসূচিতে। তাই তাঁরা একসঙ্গে বৈঠকের সুযোগই পাননি। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সাড়ে ৮টার পর বেরিয়ে যান ট্রাম্প। রাত ১০টায় তিনি বিদায় গ্রহণ করেন পালাম বিমানবন্দর থেকে। এবং তারপরই স্বস্তির শ্বাস ফেলে কেন্দ্র। কিন্তু ততক্ষণে যা ড্যামেজ হওয়ার সেটা হয়েই গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে পরিস্থিতি। গতকাল রাতেই স্থির হয়, আজ সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক ডাকা হবে। সেই বৈঠকে আজ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এবং সেইমতো গোটা নিরাপত্তাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কিছু এলাকা পরিদর্শন করে প্রতিশ্রুতি দেন আর কোনও ভয় নেই। সন্ধ্যায় অজিত দোভাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট দেওয়ার পর পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর কাছেই ব্রিফিং নেন প্রধানমন্ত্রী।