গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দিল্লির উদ্ভূত পরিস্থিতি আজ তড়িঘড়ি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। বৈঠক শেষে সোনিয়া গান্ধী বলেন, অমিত শাহ কোথায়? রবিবার রাত থেকে তিনি কী করছিলেন? কেনই বা হিংসা বাড়তে দেওয়া হল? কেন গোড়াতেই শক্ত হাতে মোতায়েন করা হল না আধা সামরিক বাহিনী? তাই এই পরিকল্পিত পরিস্থিতির দায় নিয়ে অমিত শাহ ইস্তফা দিন। দাবি করলেন সোনিয়া। ছেড়ে কথা বললেন না অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েও কেজরিওয়াল সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেননি বলেই অভিযোগে সরব হন সোনিয়া।
তাই রাজধানী দিল্লির এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আগামীকাল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে যাবে বলেই ঠিক করেছে কংগ্রেস। একইসঙ্গে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে অমিত শাহর ইস্তফার দাবিতে মিছিল করে কংগ্রেস। তবে পুলিস তাদের এগতে দেয়নি। কগ্রেস সদর দপ্তর ২৪ আকবর রোড থেকে কিছুদূর যাওয়ার পরেই আটকে দেওয়া হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, দিল্লির এই পরিস্থিতি জন্য অমিত শাহই দায়ী। তাই আমরা তাঁর বাসভবনে ইস্তফার দাবি করতে যাচ্ছিলাম। একইসঙ্গে তিনি জানান, আমরা চাই দিল্লিতে শান্তি আর ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকুক।
রবিবার রাত থেকেই উত্তর-পূর্ব দিল্লির বেশ কিছু এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছড়ায় হিংসা। সোম এবং মঙ্গলবার রাজধানীতে একদিকে যখন সরকার ব্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে, অন্যদিকে তখন দাউদাউ করে জ্বলছে দিল্লি। গতকাল বিকালে নামে আধা সামরিক বাহিনী। কিন্তু ততক্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। আহতও প্রচুর। রাজনৈতিক মহলে আতঙ্ক ছড়ায় ১৯৮৪ সালের দাঙ্গা পরিস্থিতির মতোই ফের তৈরি হচ্ছে না দিল্লি? তাই এদিন সকালে তড়িঘড়ি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকেন সোনিয়া। ছিলেন, ড. মনমোহন সিং, পি চিদম্বরম, গুলাম নবি আজাদ, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তবে ছিলেন না রাহুল গান্ধী। তিনি বিদেশে।
বৈঠকে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। তারপর সাংবাদিক সম্মেলনও করেন সোনিয়া গান্ধী। সেখানে অমিত শাহর বিরুদ্ধে তোপ দেগে দিল্লির উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফাও দাবি করেন। বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ের দূরদর্শিতার অভাবে অগ্নিগর্ভ হল দিল্লি। যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরিকল্পিতভাবেই হিংসা বাড়তে দেওয়াই শুধু নয়, তা ছড়ানোও হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সোনিয়া গান্ধী। দিল্লি নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত যা হল, তা নিয়ে কী খবর ছিল গোয়েন্দাসংস্থার কাছে? প্রশ্নও তুলেছেন কংগ্রেস সুপ্রিমো।