বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
এসি সারাইয়ের কাজ করত আশফাক। সেরকম বড়সড় অর্ডার এলে গিজারও সারাই করে দিত। গতকাল আমাদের বলল, কাছেই একটি বাড়ি থেকে এসি সারাইয়ের অর্ডার এসেছে। বেশিক্ষণের কাজ নয়। তাড়াতাড়ি করে দিয়ে চলে আসবে। আসলে নতুন বিয়ে করেছিল তো! টাকাপয়সা জমানোর দিকে ঝুঁকছিল। যেকোনও অর্ডার এলেই তাই ছুটে যেত। ওই বাড়িতে এসি সারাইয়ের পর ফোনও করেছিল বাড়িতে। জানিয়েছিল, কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরছে। আশপাশে কোথাও গোলমালের কথাও বলছিল যেন। তারপর আর কোনও কথা হয়নি।
অনেক রাতেও আশফাক বাড়ি না ফেরায় আমরা খোঁজখবর শুরু করি। তখনই খবর পাই, বাড়ি ফেরার পথেই গোলমালের মাঝে পড়ে ওর নাকি অনেকগুলো গুলি লেগেছে শরীরে। ওরা চার ভাই। আশফাক ছিল মেজো ভাই। আমার দাদা-বৌদি রয়েছে। ওর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী রয়েছে। কীভাবে সামলাব এদের? আমাদের গ্রামের বাড়ি বুলন্দশহরে। আশফাকের বিয়েতে সপরিবারে সেখানে যাওয়া হয়েছিল। এখন কি এইভাবে মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কথা আমাদের? বাড়ির ছেলের বিয়ের পর কত হইচই হওয়ার কথা পরিবারে! বুলন্দশহরে যখন গিয়েছিলাম, বাড়ির লোকেরা আরও কিছুদিন থেকে যেতে বলেছিলেন। কাজের ক্ষতি হবে ভেবে আশফাক রাজি হয়নি। আমরাও বিশেষ জোর করিনি। কারণ আমাদেরও এদিকেই কাজকারবার রয়েছে। কেন যে রাজি হলাম না?
(অনুলিখন: দিব্যেন্দু বিশ্বাস)