গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আজ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র রণদীপসিং সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘শান্তি বজায় রাখার জন্য এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে একযোগে কাজ করতে হবে। পারস্পরিক দোষারোপ করে এই সমস্যার সমাধান হবে না। সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রাখতে হলে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।’ এদিন সুরজেওয়ালা বলেন, ‘ভারতবর্ষ গান্ধী, নেহরু এবং প্যাটেলের দেশ। এখানে কি এরকম হিংসা শোভা পায়? গান্ধীজির দেশে কোনওরকম হিংসা হওয়ারই কথা নয়।’ কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা বলেই দেশকে অচল করে দেবেন না।
কংগ্রেসের পাশাপাশি দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি নিয়ে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছে সিপিএম। দলের পলিট্যবুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত বৃন্দা কারাত এবং সিপিএমের দিল্লি কমিটির সম্পাদক কে এম তিওয়ারির লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিজেপির যে নেতার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যে ‘বদলা’র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ঠেকিয়ে দ্রুত শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। চিঠিতে আর্জি জানিয়েছেন সিপিএম নেতারা। সিপিআই অবশ্য দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দায় সরাসরি চাপিয়েছে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের উপর। একইসঙ্গে তারা এই ইস্যুতে একটি নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্তও দাবি করেছে। আজ দলের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকে দমাতে চাইছে। তাতে সফল না হয়ে তারা এবার হিংসার রাস্তায় গিয়েছে। রাজধানীতে এই উত্তেজনাময় পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিজেপি এমপি, এমএলএদের একাংশই দায়ী। সিপিআই (এমএল) লিবারেশনও অভিযোগ করেছে, বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবার এবং দিল্লি পুলিসের যোগসাজশেই এই ঘটনা এত বড় আকার নিয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।