বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কমিটিতে মোট ন’জনকে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে এনসিটিই’র চেয়ারম্যান, নীতি আয়োগের সিইও, কেন্দ্রীয় স্কুল শিক্ষা ও লিটারেসি দপ্তরের সচিব সহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে নীতি আয়োগের সিইও’কে। এই কমিটি কোন কোন বিষয় দেখবে? এনসিটিই আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। বিভিন্ন আঞ্চলিক কমিটিকে তুলে দিতে গেলে আইন কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা খতিয়ে দেখবে কমিটি। এ নিয়ে সুপারিশও করবে তারা। যে সব স্বীকৃত শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তার মান কী করে আরও উন্নত করা যায়, সে ব্যাপারেও যথাযথ সুপারিশ করবে এই কমিটি। ট্রেনিং কলেজ ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চার বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএড কোর্স পড়ানোর ব্যাপারে কী নিয়ম হওয়া উচিত এবং যে সব ট্রেনিং কোর্স এখন পড়ানো হয়, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে এই কমিটিকে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলির মান কেমন, তা চিহ্নিত করার মাপকাঠি কী হবে এবং নিম্নমানের কলেজগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কী বিধি আনা যায়, তার উপরও নানা সুপারিশ করবে এই কমিটি। শিক্ষকমহলের বক্তব্য, এই ইস্যুই সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ কেন্দ্রের। কারণ, তাদের অভিযোগ, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে এই রকম বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। বেশিরভাগই স্বীকৃত নয়। যে সব হবু শিক্ষক এসব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ট্রেনিং কোর্স করেন, তাঁদের মান নিয়ে পরবর্তী সময় প্রশ্ন ওঠে। গত কয়েক বছরে এরকম কয়েক হাজার বিএড কলেজ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। আগামীদিনে তাই এসব কলেজের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। সুপারিশ অনুযায়ী, নিম্নমানের কলেজগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেই খবর। কমিটিকে আরও কয়েকটি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যেমন, তারা চাইলে আরও বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে। তবে তার জন্য অবশ্য কমিটির চেয়ারপার্সনের অনুমতি নিতে হবে।