পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিংভি এদিন বলেন, তথ্য নিরাপত্তার নামে এক ভয়ঙ্কর আইন আনতে চাইছে বিজেপি সরকার। অথচ সুপ্রিম কোর্টকে কথা দেওয়ার পর তারা এই আইন আনতে প্রায় পাঁচ বছর সময় ইতিমধ্যেই কাটিয়ে দিয়েছে। মাঝে এই আইনের জন্য যে খসড়া প্রাক্তন বিচারপতি শ্রীকৃষ্ণ তৈরি করেছিলেন, এখন তাকে আমূল বদলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিচারপতি নিজেই এখন তা বলছেন। প্রস্তাবিত আইনে কেন্দ্র চাইছে, তথ্য নিরাপত্তার সংজ্ঞা সহ সংশ্লিষ্ট আয়োগ বা অথরিটি তৈরির ব্যাপারে যাবতীয় ক্ষমতা সরকার নিজের হাতে রাখতে। সবচেয়ে বড় কথা, তথ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আগেই এই সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করতে উঠেপড়ে লেগেছিল নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে। গাড়িকে আগে রেখে ঘোড়াকে তার পিছনে জুড়ে দেওয়ার রাস্তা বেছেছে তারা। আর তা করতে গিয়ে যেভাবে যাবতীয় ক্ষমতা সরকার নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করার অভিপ্রায়ে নতুন আইন প্রণয়ন করতে চাইছে তাতে ব্যক্তি গোপনীয়তা বলে আর কিছু থাকবে না। আসলে বিজেপি মানুষের শোয়ার ঘরে ঢুকে পড়ার তাল করছে। আসলে এই সরকার গণতন্ত্রকে যে প্রতিপদে টুঁটি চেপে মারতে চাইছে, সেটা তাদের এই সব পদক্ষেপেই প্রমাণ হচ্ছে।
সিংভি আরও বলেন, গণতন্ত্রের পাশাপাশি অন্ধ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের জেরে বিজেপি দেশের তামাম প্রতিবাদী মানুষের গায়ে দেশদ্রোহী তকমা লাগিয়ে দেওয়ার এক ঘৃণ্য খেলায় নেমেছে। এব্যাপারে তাদের পরিচালিত সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়কেও মান্য করছে না। রাজনীতিক থেকে সাধারণ স্কুল শিক্ষক, ছাত্র থেকে সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ—কেউ রেহাই পাচ্ছে না গেরুয়া শিবিরের এই পরিকল্পনা থেকে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে যেভাবে দেশদ্রোহের মামলার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে, তাতে বিজেপি’র এই পরিকল্পনা স্পষ্ট হবে। সিএএ লাগু হওয়ার পর গত ৭০ দিনে ১৯৪টি এই মামলা রুজু হয়েছে। ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলে যারা স্লোগান দেয়, কংগ্রেস তাদের তীব্র নিন্দা বা বিরোধিতা করবে। কিন্তু কেউ মুখে একথা বললে, তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীর মামলা রুজু করা যায় না। ১৯৬২ সালেই সেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।