পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিনয় শর্মার মানসিক অসুস্থতা প্রমাণে আদালতে আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। ওই আবেদনে তিনি বলেন, জেলের কুঠুরির দেওয়ালে মাথা ঠুকে গুরুতর চোট পেয়েছে তাঁর মক্কেল। ডান হাতের হাড়ও ভেঙেছে। বিনয় ‘মস্তিষ্কের ভারসাম্যহীনতা’, ‘মানসিক অসুস্থতা’ ও ‘সিজোফ্রেনিয়া’য় আক্রান্ত। যদিও তিহার জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই দাবিগুলির কোনও সত্যতা নেই। বিনয় শর্মার শরীরের বহিরাংশে চোট লেগেছে। কোনও অভ্যন্তরীণ আঘাত নেই। মানসিক ভারসাম্যের কোনও অভাবও তার ঘটেনি। এদিন আদালতে উপস্থিত হন জেলের মনোরোগ বিশেষজ্ঞও। তিনি বলেন, চার দোষী সাব্যস্তেরই রোজ চেক-আপ চলছে। তারা প্রত্যেকেই ঠিকঠাক রয়েছে। এই বক্তব্য শোনার পরই আদালত বিনয়ের আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দেয়।
সরকারি সূত্রে খবর, পরিবারের সঙ্গে ‘শেষ সাক্ষাতের’ ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে চার দোষী সাব্যস্তের কাছেই তিহার জেল কর্তৃপক্ষের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যে মুকেশ ও পবনের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ‘শেষ সাক্ষাৎ’ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১ ফেব্রুয়ারির যে পরোয়ানা জারি হয়েছিল, তার আগেই এই দুই অপরাধীর জন্য ওই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বাকি দুই অপরাধী অক্ষয় ও বিনয় কবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চায়, তা তাদের জানাতে বলা হয়েছে চিঠিতে। বন্দিদের সঙ্গে সাধারণ সাক্ষাতের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা একটি জানালার মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ পান। কিন্তু ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষেত্রে ‘শেষ সাক্ষাতে’র জন্য সামনা সামনি কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। চার অপরাধীর পাশাপাশি তিহার জেল কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের কারা প্রশাসনকে। ফাঁসির নির্ধারিত দিনের দু’দিন আগে ফাঁসুড়ে পাঠাতে বলা হয়েছে এই চিঠিতে।