কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এমনিতে ট্রাম্প প্রশাসনের এই শীর্ষকর্তা বলছেন, ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক ও গণতান্ত্রিক পরম্পরার প্রতি আমেরিকা খুবই শ্রদ্ধাশীল। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, দুই দেশের এই গণতান্ত্রিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার পরম্পরা নিয়ে ট্রাম্প প্রথমে সরকারি বিবৃতি দেবেন ও পরে নিশ্চিতভাবেই একান্ত বৈঠকেও কথা বলবেন। তিনি এই ইস্যুগুলি তুলবেন। বিশেষ করে ধর্মীয় স্বাধীনতার ইস্যু। কারণ ট্রাম্পের প্রশাসনের কাছে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বললেন। তিনি বললেন, ভারত যাতে তার গণতান্ত্রিক পরম্পরা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। ধর্মীয় স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের প্রতি সম্মান ও সব ধর্মের প্রতি সমান আচরণ নিশ্চিতভাবেই ভারতীয় সংবিধানের অঙ্গ। আমি নিশ্চিত, ধর্মীয় স্বাধীনতার ইস্যুতে উঠবে। ভারতের গণতন্ত্র খুবই শক্তিশালী। ভারত ধর্মীয়, ভাষাতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে সমৃদ্ধ। চারটি বৃহৎ ধর্মের জন্মস্থান। গত বছর ভোটে জিতে আসার পর প্রথম ভাষণেই প্রধানমন্ত্রী মোদি সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলার কথা বলেছিলেন। ভারত যাতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সবার জন্য সমান আইনের ধারা বজায় রাখে, নিশ্চিতভাবেই সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।
হোয়াইট হাউসের এই বিবৃতি নিশ্চিতভাবেই দুশ্চিন্তার কারণ মোদি সরকারের কাছে। বিড়ম্বনা এড়ানোর কৌশল খোঁজার কাজও শুরু হয়েছে। পাখির চোখ করা হচ্ছে বড়সড় একটা বাণিজ্য চুক্তিকে। সেটাই হবে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আসল দর কষাকষির জায়গা। কারণ ট্রাম্প চাইবেন এমন চুক্তি, যার প্রচ্ছন্ন বার্তা হবে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। আর মোদি চাইবেন এমন ডিল, যা আসলে স্বগ্নপূরণ করবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র! এই কারণেই ট্রাম্প সফরকে সফল করতে ভারত মরিয়া। তাই দিল্লিও প্ল্যাকার্ড পূর্ণ— ‘নমস্তে ট্রাম্প’!