গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চীনের মুখপাত্র জি রং। তিনি বলেন, হুবেই প্রদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। কোনও বিমানকে চীনের আকাশ ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও দেরি করা হয়নি। তাঁর এই বক্তব্য মানতে চায়নি ভারত। এর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে শীর্ষ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি উহানে বিমানটি পাঠাতে চেয়েছিল ভারত। চীন সরকার অনুমতি দিতে দেরি করছে। কিন্তু, ১৬-২০ তারিখের মধ্যে জাপান, ইউক্রেন এবং ফ্রান্সের বিমানকে চীনের মাটিতে নামতে দেওয়া হয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রেই শুধু অনুমতি মিলছে না। ওই বিমানটিতে সংক্রমিত এলাকার জন্য বিপুল পরিমাণ ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে চীনে যাওয়ার কথা। এবং উহানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করে সেটি দেশে ফিরে আসত। কিন্তু, চীন সরকার অনুমতি না দেওয়ায়, তা পিছিয়ে গিয়েছে।
এদিকে, জাপানের বন্দরে আটকে থাকা ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজ থেকে এখনও পর্যন্ত একজন ভারতীয়ও স্থলভাগে আসতে পারেননি। এই নিয়ে প্রতিদিন উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও আশার কথা শুনিয়েছে টোকিওয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, জাপানের প্রশাসন জাহাজে আটকে থাকা ভারতীয় সহ অন্যান্যদের শারীরিক পরীক্ষা করবে। যদি তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু না পাওয়া যায়, তাহলে ধীরে ধীরে যাত্রীদের স্থলভাগে নামতে দেওয়া হবে। শুক্রবারই সম্পূর্ণ সুস্থ যাত্রীদের একটি দলকে জাহাজ থেকে নামার অনুমতি দিয়েছিল জাপান সরকার।
অন্যদিকে, করোনা আতঙ্কে ভারতীয়দের সিঙ্গাপুর যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকার জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে বলা হয়েছে, খুব দরকার না পড়লে সিঙ্গাপুর যাওয়ার দরকার নেই। পাশাপাশি, কাঠমান্ডু, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে শারীরিক পরীক্ষা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এতদিন দেশের ২১টি বিমানবন্দরে চীন, হংকং, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও জাপান থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছিল। এবার তার সঙ্গে আরও চারটি দেশের নাম জুড়ে গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে পর্যালোচনা করতে শনিবার বৈঠকে বসা হয়েছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার যাত্রীকে নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে।