পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কদম বলেন, তাঁর জন্মের কয়েকদিন আগেই বাবা মারা যান। মা বিজয়াশ্রী ছিলেন মহারাষ্ট্র সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনের পিওন। অনেক কষ্ট সহ্য করে তিনি ছেলেমেয়েকে বড় করে তোলেন। ১৯৯২ সালে লোকাল ট্রেনে বাড়ি ফেরার পথে বিজয়াশ্রীর সোনার কানের দুল ছিনতাই হয়। বাড়ি ফিরে তিনি মুষড়ে পড়েছিলেন। তাঁর কান দিয়ে তখনও রক্ত বেরচ্ছিল। অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে বিজয়াশ্রী ওই দুল জোড়া বানিয়েছিলেন। কদম বলেন, ১৯৭৮ সালে তিনি বাবাকে হারান। তারপর ২০০১ সালে মা’কে। তারপর মুম্বই ছেড়ে খারঘারে চলে আসেন। আর তাঁর দিদি ডোম্বিভালিতে স্বামীর সঙ্গে থাকেন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর দুল চুরির ঘটনাটা তাঁরা ভুলেই গিয়েছিলেন। হঠাৎই দু’সপ্তাহ আগে কুরলা জিআরপি থেকে তাঁদের কাছে ফোন যায়। অবাক হয়ে শুক্রবার ভাই-বোন মিলে মায়ের দুল ফেরত নিতে আসেন। দুল হাতে পেয়ে কদম বলেন, ‘মায়ের স্মৃতি হিসেবে এই দুল আমরা রেখে দেব। আমাদের বড় করে তুলতে মা কত কষ্ট করেছিলেন, সেটাই এই দুল মনে করিয়ে দেবে।’
কদমের মতো আরও দু’জনকে ট্রেনে চুরি যাওয়া জিনিস ফেরত দেওয়া হয়েছে। কুরলার প্রাক্তন বাসিন্দা লুসি পির সোনার চেন চুরি গিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এছাড়া ২০১৪ সালে মুম্বইয়ে বেড়াতে এসে কলকাতার বাসিন্দা সুলগ্না পানিগ্রাহীর ১৮০০ টাকা চুরি গিয়েছিল। ওই দু’জনকেও তাঁদের চুরি যাওয়া চেন এবং টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।