নয়াদিল্লি, ২২ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): আলোচনা চলছিল বিশ্বজুড়ে। কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে ছিল আশঙ্কাও। কিন্তু সব আশঙ্কা পাশে সরিয়ে আদালতের সাম্প্রতিক সব গুরুত্বপূর্ণ রায়কে ‘পূর্ণ হৃদয়ে’ গ্রহণ করেছেন ১৩০ কোটি ভারতীয়। রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল অযোধ্যা মামলা সহ হালফিলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আন্তর্জাতিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, লিঙ্গগত সাম্য ছাড়া বিশ্বের কোনও দেশ বা সমাজে সর্বাঙ্গীন উন্নতি সম্ভব নয়। আর সেই সূত্রেই তিনি উল্লেখ করেন প্রতিবন্ধীদের অধিকার, তিন তালাক ও রূপান্তরকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত আইনের কথা। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, বিশ্বের আধুনিক সংবিধানগুলির সবচেয়ে মূলগত চরিত্র হল আইনের শাসন। গোটা বিশ্বের বিচার বিভাগগুলি কীভাবে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে, তার উপর সাফল্য নির্ভর করছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতাকে মান্যতা দিচ্ছে গোটা বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তাঁর চিন্তার বিস্তার বিশ্বজোড়া, কাজের ক্ষেত্রে যার প্রতিফলন ঘটে একেবারে স্থানীয় ক্ষেত্রে।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীতে কর্মরত মহিলাদের অধিকার প্রদানে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতীয় বিচার বিভাগের প্রাণখোলা প্রশংসা করেন মোদি। প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে আদালতগুলির পরিচালন ব্যবস্থার কাজে সুবিধা হবে। বিচার প্রদানের ক্ষেত্রেও অনেকাংশে সুবিধাজনক হবে। তবে এর সঙ্গেই যে তথ্যের নিরাপত্তা ও সাইবার অপরাধের মতো বিষয়গুলি বিচার বিভাগের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে, তারও উল্লেখ করেন মোদি। এদিনের অনুষ্ঠানে মহাত্মা গান্ধীর অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সত্য ও সেবার প্রতি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন গান্ধীজি। বিচার বিভাগের যে কোনও ব্যবস্থায় এটাই মূল ভিত্তি।