বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এমনিতে একজন ইপিএফ গ্রাহকের ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের বিষয়টির মধ্যে কোনও নতুনত্ব নেই। ২০১৮ সালেই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছিল কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন। অনলাইনে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত যেকোনও কাজ করতে গেলেই এই ইউএএন অত্যন্ত জরুরি। বছর আড়াই আগেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছিল, ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে আধার সংযোগ না থাকলে অনলাইন ইপিএফ পরিষেবাই পাবেন না গ্রাহকেরা। এর ফলে যেমন অনলাইনে ইপিএফের কোনও ‘ক্লেম’ করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে গ্রাহককে, তেমনই টাকা তুলতে চাইলেও সমস্যা হবে। এমনকী কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে টাকা জমা পড়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। বেগ পেতে হতে পারে ইপিএফ পেনশনের ক্ষেত্রেও। উল্লিখিত বিজ্ঞপ্তির পরেই বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানে ইপিএফের আওতাভুক্ত কর্মীদের ইউএএনের সঙ্গে তাঁদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের কাজ পুরোদমে শুরু করে দিতে বলে কেন্দ্র। যদিও সেই কাজে এখনও ১০০ শতাংশ সাফল্য মেলেনি বলেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে। এবং তার জেরেই বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দপ্তরে নির্দেশিকা পাঠিয়ে ইউএএন-আধার সংযোগের কাজে গতি আনতে বলা হচ্ছে।
ইউএএনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের আধার যোগ বাধ্যতামূলক হলেও কেন সেই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার জন্য ‘ডেডলাইন’ দিচ্ছে না কেন্দ্র? শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতি মাসে নতুন গ্রাহক ইপিএফের আওতায় আসছেন। নতুনদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আধার নম্বর নিয়েই ইউএএন তৈরি করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নতুন কর্মচারীদের হয়তো আধার তৈরিই হয়নি। আধারের জন্য তাঁরা আবেদন করে অপেক্ষা করছেন। এক্ষেত্রে আধার সংযুক্তিকরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে দিলে তাঁদের সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরনো কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় মাথায় রাখছে কেন্দ্র। মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, পুরনো কর্মীদের কাছে যে আধার কার্ড রয়েছে, তাতে হয়তো সংশোধন প্রয়োজন। সংস্থা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে তাঁরা হয়তো সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট ডাকঘর কিংবা ব্যাঙ্কে আবেদনও করেছেন। কিন্তু তার সময় পাওয়া গিয়েছে দু’মাস বা তিন মাস পর। অর্থাৎ সংশোধনের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। এখন ওই দু’মাস বা তিন মাসের মধ্যেই যদি ‘ডেডলাইন’ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে উল্লিখিত কর্মীদেরও। যেহেতু একেকটি ক্ষেত্রে এই সময় আলাদা, তাই নির্দিষ্ট করে কোনও তারিখ চূড়ান্ত করে দেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি তাই নিয়োগ কর্তাদের হাতেই আপাতত ছেড়ে রাখা হবে বলে ঠিক করেছে ইপিএফও।