কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অবরুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ কালিন্দীকুঞ্জ রোড না খুললেও যানজট কমাতে এদিন সাময়িকভাবে নয়ডা এবং ফরিদাবাদের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা খুলে দেয় দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিস। শাহিনবাগের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই রাস্তাটিতে ব্যারিকেড বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৬৯ দিন পর ব্যারিকেড সরালেও মিনিট চল্লিশের মধ্যে ফের তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিসের বক্তব্য, যেহেতু মূল আন্দোলন এখনও চলছে, তাই এই মুহূর্তে সম্পূর্ণভাবে এই লিঙ্ক রোড খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। ৪০ মিনিটের এই পদক্ষেপেই অবশ্য এদিন অনেকটা সুরাহা মিলেছে সাধারণ মানুষের। জানা যাচ্ছে, গতকাল, দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শেষে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত দুই মধ্যস্থতাকারী পুলিসের আধিকারিকদের বিকল্প কোনও রাস্তা খুঁজে সেটিকে সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া যায় কি না, তা দেখতে বলেছিলেন। সেইমতোই এদিন সকালে নয়ডা, ফরিদাবাদের সংযোগকারী রাস্তা ৪০ মিনিটের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিন অবস্থানমঞ্চে দাঁড়িয়ে সাধনা রামচন্দ্রন, সঞ্জয় হেগড়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সমস্যার সমাধানে আমরা কোনও ভেদাভেদ করছি না। কিন্তু এভাবে রাস্তা আটকে রাখায় সাধারণ মানুষের যে অত্যন্ত অসুবিধা হচ্ছে, তা নিশ্চই আপনারা মানবেন। তাঁদের কথা ভেবে কালিন্দীকুঞ্জ রোডের অন্তত একটি দিক খুলে দিন।’ সেই প্রস্তাবেও রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা। মধ্যস্থতাকারীরা বলেন, ‘পুলিসকে আমরা বলে দিচ্ছি, যাতে আপনাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়।’ তার জবাবে মঞ্চে এসে একজন আন্দোলনকারী বলেন, ‘পুলিসের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই।’ আগামী সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহিনবাগ ইস্যুতে ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। গতকাল মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছিলেন, শাহিনবাগে শান্তির পরিবেশ নেই। তাই এখানে আলোচনা করা যাচ্ছে না। ১০-২০ জনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে চান তাঁরা। সেই প্রস্তাব মেনে না নিলেও আজ দুই মধ্যস্থতাকারী এসে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত বারবার অবস্থানমঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়, কোনও পরিস্থিতিতেই কেউ হইচই করবেন না। আইনজীবীরা প্রত্যেকের কথাই শুনবেন। অযথা হইচই করলে তাঁরা বিরক্ত হতে পারেন। এদিন শাহিনবাগের অবস্থানমঞ্চে জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়া হয়।