পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিহারের ৬টি আসনের মধ্যে অন্তত একটি আসনের দাবি নিয়ে কংগ্রেস জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় জনতা দলের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা রাষ্ট্রীয় জনতা দলকে মনে করিয়ে দিয়েছে বিগত লোকসভা ভোটের আসন সমঝোতার সময়ই শর্ত ছিল রাজ্যসভার আসন দেওয়া হবে কংগ্রেসকে। বিহারের ৬টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে বিজেপি বিরোধী জোট সম্ভবত জয়ী হবে। বাকি তিনটি পাবে এনডিএ। মহারাষ্ট্রের তিনটি আসনও শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপির মধ্যে ভাগাভাগি হওয়ার কথা। বিজেপির এখন রাজ্যসভায় এককভাবে রয়েছে ৮২ টি আসন। ২৫টি আসন রয়েছে বিজেপির জোটশরিকদের। অর্থাৎ সবমিলিয়ে শাসকের ১০৭টি আসন রাজ্যসভায়। গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২। তাই এখনও বিজেপির কোনও বিল পাশ করাতে হলে বিজু জনতা দল কিংবা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির মতো এনডিএ জোটের বাইরের দলের সমর্থন এখনও দরকার হয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বিজেপি ভেবেছিল ২০১৯ সালের পর তাবৎ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হয়ে রাজ্যসভার আসনও বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে এবং আগামীদিনে লোকসভার মতোই রাজ্যসভাতেও যে কোনও বিল পাশ করানোর ক্ষেত্রে একা বিজেপি অথবা এনডিএ যথেষ্ট হবে। অন্য কোনও দলের প্রয়োজনই হবে না।
কিন্তু একের পর এক রাজ্যে পরাজিত হয়ে বিজেপির সেই প্ল্যান সম্পূর্ণ ধুলিসাৎ হয়েছে। আপাতত বিজেপির রাজ্যসভার সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে। প্রায় ১৫টি আসন বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু ২০২২ সালে আবার রাজ্যসভার শক্তি কমে যাবে। কারণ সেক্ষেত্রে যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি পরাজিত হয়েছে, সেগুলির রাজ্যসভার আসন শূন্য হবে এবং সেখানে বিরোধীরাই জয়ী হবে। সুতরাং একথা বলাই যায় লোকসভার মতো রাজ্যসভাতে একক গরিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। বরং রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির শক্তিক্ষয় হওয়ায় আগামীদিনে সমর্থক দলগুলি সর্বদা পাশে নাও দাঁড়াতে পারে। আপাতত রাজ্যসভায় এপ্রিল মাসের সবথেকে চিত্তাকর্ষক হতে চলেছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আগমন। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় তিন কগ্রেস শাসিত রাজ্যই চাইছে তাদের রাজ্য থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজ্যসভায় প্রবেশ করুন। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী কী চাইছেন আপাতত সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কি রাজ্যসভায় আনতে আগ্রহী কংগ্রেস হাইকমান্ড?