নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘মন কি বাত’ হোক বা স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার বক্তৃতা— সব জায়গাতেই এ বিষয়ে গণসচেতনতার ডাক দেন তিনি। গত ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী থেকে সেই অভিযান শুরু হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। এই প্লাস্টিক বিরোধী কর্মসূচিতে মূল যে বিষয়টির উপরে জোর দেওয়া হয়েছে, তা হচ্ছে, দেশকে ‘সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক’ মুক্ত করতে চায় কেন্দ্র। অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত দেশ গড়া হোক। সেই লক্ষ্যে ২০২২-এর মধ্যে দেশকে ‘সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক’ মুক্ত করতে চায় কেন্দ্র। অর্থাৎ এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক আর চলবে না। এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই) প্রধানমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে দেশের ৮৫টি বিমানবন্দর সম্পূর্ণভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত করে দিল। এএআই-এর তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ভিতরে বিমানবন্দরগুলিকে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক উৎসগুলি যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সে বিষয়টিকেও মাথায় রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলির কর্তৃপক্ষ প্রথম দিন থেকেই নজরে রেখেছিল এই সম্পূর্ণভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত করার ব্যাপারে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেইমতো এগিয়ে ২০১৯ জানুয়ারির মধ্যে মোট ৮৫টি বিমানবন্দরকে সম্পূর্ণভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হল। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, এয়ারপোর্ট কার্বন অ্যাক্রিডিটেশন প্রোগ্রামের অধীনে যে উদ্যোগ রাখা হয়েছে, তাতে কলকাতা দ্বিতীয় ধাপ উঠে গিয়েছে। পরিবেশবান্ধব এই কর্মসূচিতে কলকাতা বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করেছে।
পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রথম ধাপে ১২টি জিনিস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ৫০ মাইক্রনের কম প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ (হাতল যুক্ত এবং হাতল ছাড়়া), ২০০ মিলিলিটারের কম তরলের জন্য তৈরি প্লাস্টিকের বোতল, প্লাস্টিকের জলের পাউচ, একবার ব্যবহার যোগ্য থার্মোকলের থালা-গ্লাস-বাটি-চামচ, ছোট প্লাস্টিকের কাপ, বিভিন্ন রেস্তরাঁয় খাবার দেওয়ার জন্য প্লাস্টিকের পাত্র-সহ অনেক কিছু।