গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অনেক সময়ই দেখা যায়, বিভিন্ন রাস্তায় বা ফুটপাতে কাপড় বিছিয়ে এক বা একাধিক শিশুকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। কাপড়ের উপর কিছু খুচরো পয়সা ছড়ানো। রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, মন্দির-মসজিদ কিংবা মেট্রো স্টেশনের বাইরে অনেক সময়ই সাধারণ মানুষের পায়ে পায়ে ঘুরে ভিক্ষা চাইতেও দেখা যায় ছোট ছেলেমেয়েদের। কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রক জানিয়েছে, এই পুরো কাজটিই দণ্ডনীয় অপরাধ। যে বা যারা বিশেষ করে ১৫ বছরের কম বয়সি ছেলেমেয়েদের এই ভিক্ষাবৃত্তিতে নামিয়ে দিচ্ছে, তাদের জন্য জেল এবং জরিমানা দুটোরই ব্যবস্থা রয়েছে সংশ্লিষ্ট আইনে। কিন্তু কেন্দ্র আইন তৈরি করলেও তার সঠিক প্রয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির উপরই বর্তায়। রাজ্যে রাজ্যে সেই আইন কার্যকর হচ্ছে কি না, সেটিই এবার খতিয়ে দেখা হবে বলে ঠিক করেছে মন্ত্রক। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির সহযোগিতা নিয়েই তা করা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৫ সালের উল্লিখিত আইনে যেমন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নিদান রয়েছে, তেমনই ভিক্ষাবৃত্তিতে নিযুক্ত শিশুদের উদ্ধারের পর তাদের পুনর্বাসনের কথাও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অথবা চাইল্ডলাইন কিংবা পুলিস যদি এদের উদ্ধার করে, তাহলে এইসব ছেলেমেয়েকে তুলে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট জেলার শিশু উন্নয়ন কমিটির হাতে। সংশ্লিষ্ট কমিটিই ওই ছেলেমেয়েদের বয়স অনুসারে পড়াশোনা, ভোকেশনাল ট্রেনিং, স্বাস্থ্য পরিষেবা কিংবা কাউন্সেলিং করিয়ে তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়।