পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত বছর আগস্টে অসমে শুরু হয়েছে এনআরসি। অন্তত ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। সেই তালিকায় নাম ছিল জাবেদা বেগমের। এনআরসি চালু হওয়ার পর তিনি এখন ‘বিদেশি’। এই নিয়ে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মনোজিৎ ভুঁইয়া এবং পি জে সাইকিয়ার বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের নথি বা জমির কর দেওয়ার রসিদ কখনই নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না। এর আগে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দেওয়া পরিচয়পত্র সহ ১৪ ধরনের নথি জমা দিয়েছিলেন জাবেদা। কিন্তু বাবা, মায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও নথি জমা দিতে পারেননি। ফলে তাঁর আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। একইভাবে হাইকোর্টেও তাঁর আবেদন গ্রাহ্য হল না।
বক্সার ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল জাবেদা বেগমকে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের নোটিস পাঠালে তিনি প্যান কার্ড, রেশন কার্ড, দু’টি ব্যাঙ্কের পাসবুক, বাবা জাভেদ আলির নথিও জমা দিয়েছিলেন। বাবার নথিতে ঠাকুরদার নামের উল্লেখ, জমির করের রসিদ ইত্যাদি ছিল। ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হয়ে নিজেকে জন্মগতভাবে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করে ১৪টি নথি সহ লিখিত বক্তব্য জমা দেন। ট্রাইব্যুনালের বক্তব্য, জাবেদা বেগমের নথিতে কোথাও ভারতে জন্মের প্রমাণ মেলেনি। ট্রাইব্যুনালের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খেলেন তিনি।