পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির মুখার্জি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মেট্রোপলিটান মিটিং’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আরএসএস। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের কর্মী, অনুগামীদের উদ্দেশে ভাগবত বলেন, ন্যাশনালিজম শব্দটি উচ্চারণ করবেন না। অনেকে তাকে নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসিবাদের সঙ্গে এক সারিতে বসিয়ে ফেলেন। পরিবর্তে নেশন বা ন্যাশনালিটি বলুন। এ প্রসঙ্গে ব্রিটেনের এক আরএসএস সমর্থকের কথোপকথনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ভাগবতের কথায়, ‘ন্যাশনালিজম শব্দটি ব্যবহার করবেন না। নেশন বললে চলবে। ন্যাশনাল বললেও চলবে। কিন্তু, ন্যাশনালিজম বলবেন না। ন্যাশনালিজম শব্দের অর্থ হিটলার, নাজিবাদ।’
তবে, মৌলবাদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন আরএসএস সুপ্রিমো। এবং সেক্ষেত্রে ভারতই তার সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য দিয়ে সমাধানের রাস্তা বলে দিতে পারে। এ প্রসঙ্গে বহুত্ববাদেরও বার্তা দিয়েছেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘মৌলবাদ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা এবং একজন ঠিক আর বাকি সব ভুল, এই ধারণাই বিশ্বের শান্তি নষ্ট করছে।’ এরপরেই জাতি, ভাষা, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সঙ্ঘ সদস্যদের দেশবাসীর কাছে পৌঁছনোর বার্তা দেন ভাগবত।
ভারতের ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ বা ‘গোটা বিশ্বই একটি পরিবার’ নীতিকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরের জন্য বাঁচি, শুধু নিজেদের জন্য নই। আমাদের দেশের নীতিই হল আমরা কারও দাস হব না। আবার কাউকে দাস বানাবও না। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার গুণ আমাদের দেশের রয়েছে।’ ভাগবত আরও বলেন, ‘ভারতের সংস্কৃতি হল হিন্দু সংস্কৃতি। বৈচিত্র সত্ত্বেও ভারতের প্রত্যেক নাগরিক একে অপরের সঙ্গে এক সুতোয় বাঁধা রয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে পৃথিবী আমাদের তৈরি করেছে এবং তা আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। গোটা বিশ্বকে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দেখি।’ সেজন্য হিন্দুত্বের অ্যাজেন্ডা নিয়ে আরএসএস ভারতকে বিশ্বনেতা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এখানেই থেমে না থেকে হজযাত্রায় যাওয়া এক মুসলমান বুদ্ধিজীবীর সমস্যার কথা উল্লেখ করেন ভাগবত। গলায় লকেট পরার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগ আনা হয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল জেলে। কিন্তু, তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের হস্তক্ষেপে আট দিন পর ছাড়া পান ওই বুদ্ধিজীবী। এ প্রসঙ্গে আরএসএস প্রধানের মন্তব্য, ভারতের যে কোনও ব্যক্তিই হলেন হিন্দু।