কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গতকালের পর আজও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের আলোচনায় কোনও সমাধান সূত্র বেরল না। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ শাহিনবাগের অবস্থান মঞ্চে আসেন তিনজন মধ্যস্থতাকারীর অন্যতম সাধনা রামচন্দ্রণ এবং সঞ্জয় হেগড়ে। এদিন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ করে সাধনা রামচন্দ্রণ বলেন, ‘আপনারা আজ আমাদের আসতে বলেছিলেন বলেই আমরা ফের এসেছি। সুপ্রিম কোর্ট আপনাদের প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নিতে বলেনি। আমরাও চাই, শাহিনবাগের আন্দোলন শাহিনবাগেই থাকুক। কিন্তু আমরা এও চাই, আপনারাও এখানে আন্দোলন করুন, পাশাপাশি রাস্তা খুলে দিয়ে অন্যদেরও যাতায়াতের সুবিধা করে দিন। আপনারা কি এতে রাজি?’ জবাবে আন্দোলনকারীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘নেহি, নেহি।’ আমরা রাজি নই। সাধনা রামচন্দ্রণ বলেন, ‘এমন কোনও সমস্যা নেই, যার সমাধান হয় না। আলোচনায় সুরাহা না হলে সুপ্রিম কোর্ট যা নির্দেশ দেবে, সরকার সেইমতোই কাজ করবে। তা সকলকেই মানতে হবে।’ বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে সঞ্জয় হেগড়ে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যতদিন আছে, ততদিন আপনাদের প্রত্যেকের কথা শোনা হবে। আমাদের উপর ভরসা রাখুন। রাস্তা খুলে দিন।’ এবারেও একইভাবে চিৎকার করে নিজেদের আপত্তি জানান বিক্ষোভকারীরা।
এদিন কথা বলার সময় মধ্যস্থতাকারীদের সামনে কেঁদে ফেলেন এক আন্দোলনকারী। বলেন, ‘আমি দুটি সন্তানের বাবা। আমার ভয় করছে। কী হবে ওদের? আমাদের কি চলে যেতে হবে? আমরা ভারতের নাগরিক। এই তিরঙ্গা আমাদেরও।’ সাধনা রামচন্দ্রণ, সঞ্জয় হেগড়ে বলেন, ‘আপনাদের কোনও ভয় নেই। আপনাদের এই প্রতিবাদ যে ভারতের প্রতিবাদ, কোনও হিন্দু-মুসলিম আন্দোলন নয়, তা আমরা জানি। ভয় পাবেন না। এটা কান্নাকাটির জায়গা নয়। সমাধান করতে হবে সমস্যার।’ অন্য একজন আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমাদের অধিকারকে পদদলিত করার চেষ্টা চলছে। সরকার বিরোধিতা করলেই দেশদ্রোহী বলা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য পালঙ্ক সাজিয়ে রেখেছি। কিন্তু তাঁকেই আসতে হবে এখানে। আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই।’