পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ফেল করার আতঙ্কে পরীক্ষায় বহু পড়ুয়াই নকল করে। কেউ কেউ ধরা পড়ে, আবার কেউ উতরে যায়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি পড়ুয়াদের নকল করার পরামর্শ দিচ্ছেন, এমন ঘটনা প্রায় নজিরবিহীন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বোর্ড পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আর তাতে নকল রুখতে যোগী আদিত্যনাথ সরকার অনেক আগেই পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরেই স্বচ্ছ বোর্ড পরীক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের তরফে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু মউয়ের ওই ভিডিওয় বেসরকারি স্কুলের এক কর্তাকেই নকল করায় বাহবা দিতে দেখা গেল। স্বভাবতই এই ঘটনায় শিক্ষক মহলে প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পুলিস জানিয়েছে, হরিবংশ মেমোরিয়াল ইন্টার কলেজের ম্যানেজার প্রবীণের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালের উত্তরপ্রদেশ পরীক্ষা আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে স্কুলের এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেশি নম্বর পাওয়ার ব্যাপারে পড়ুয়াদের পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রবীণ। পড়ুয়াদের মধ্যেই কেউ প্রবীণের ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওয় পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমাদের সকলকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। যদি কেউ নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাও এবং চড়-থাপ্পড় খাও, তাহলে শান্ত থাকতে হবে। পারলে হাতজোড় করে আর একটা চড়ের জন্য প্রস্তুত থেকো। শিক্ষকের সঙ্গে তর্কে জড়িও না। শিক্ষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে তোমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’ এই কথাগুলির পাশাপাশি উত্তরপত্র জমা দেওয়ার পদ্ধতিও বাতলান প্রবীণ। বলেন, ‘কোনও প্রশ্ন ছেড়ো না। যদি উত্তর লিখে তার সঙ্গে ১০০ টাকার নোট জমা দাও, তাহলে শিক্ষকরা চোখ বন্ধ করে নম্বর দিয়ে দেবেন। যদি একটা চার নম্বরের প্রশ্নের উত্তরও তুমি ভুল লেখো, তাহলে শিক্ষক তোমাকে তিন নম্বর দিয়ে দেবেন। কেউ দেখবেন না যে কী লিখেছো। তোমরা কেউ ফেল করবে না।’
প্রবীণ অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পড়ুয়ারা যাতে নকল না করে শৃঙ্খলা বজায় রেখে পরীক্ষা দেয়, সেটা বোঝানোই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বলে প্রবীণ দাবি করেছেন। যদিও আপাতত তিনি শ্রীঘরেই রয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মউ জেলার স্কুল ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেন, ভিডিওয় ওই ব্যক্তি (প্রবীণ মল) যা বলছেন, তা কখনওই বরদাস্ত করা যায় না।’