পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন বিধানসভায় প্রায় একঘণ্টা বক্তব্য রাখেন আদিত্যনাথ। তাতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি আন্দোলনের বিপক্ষে নন। কিন্তু, প্রতিবাদের নামে হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর কথায়, আমি সব সময় বলি, যে কোনওরকম গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশে থাকব। কিন্তু, কেউ যদি গণতান্ত্রিক অধিকারকে ঢাল করে হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে সে যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই তাকে জবাব দেওয়া হবে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন জারি হওয়ার পর দেশের একাধিক প্রান্তের মতো উত্তরপ্রদেশেও তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মাঝে গুলিতে মৃত্যু হয় প্রায় ২০ জনের। পুলিসের গুলিতেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বিজনোরের পুলিস সুপার সঞ্জীব ত্যাগীও পুলিসের গুলিতে আন্দোলনকারীর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছিলেন। যদিও এদিন তা মানতে চাননি যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিসকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীদের ‘আজাদি’ স্লোগানেও আপত্তি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজাদি স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। কিসের আজাদির কথা বলা হচ্ছে? আমাদের কার স্বপ্ন সফল করার জন্য একত্রে কাজ করতে হবে – জিন্না না গান্ধীর?’ তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরে হিংসাত্মক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিসের প্রশংসা করা উচিত। রাজ্যে কোনও দাঙ্গা হয়নি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তুমুল প্রতিবাদ করে বিরোধীরা।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় এক সভায় তিনি বলেন, কথায় কাজ না হলে গুলি চলবে। তাঁর সেই বেলাগাম বক্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফলে এই ধরনের মন্তব্যের ফল ভুগতে হয়েছিল বিজেপিকে। সেই রেশ না কাটতেই এদিনের মন্তব্যে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।