গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পাশাপাশি আজ অযোধ্যা আন্দোলনের সূত্রপাত থেকে যুক্ত মোহন্ত নৃত্যগোপাল দাসকে করা হয়েছে ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আজই শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট প্রথম বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে ১৫ জন সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্ট আলোচনা করেছে মন্দির নির্মাণের সময়সীমা নিয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত বছর সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের পর ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের প্রচার পর্বে বলেছিলেন, রামমন্দির চার মাসের মধ্যে নির্মাণ হয়ে যাবে। দিল্লির ভোটের সময়ও তিনি বলেছেন, একই সময়সীমার কথা।
রবিবার বারাণসীতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, আর বেশি দেরি নেই। এবার দ্রুত মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরই আজ দিল্লিতে রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান কে পরাশরনের বাসভবনে ট্রাস্টের বৈঠক হয়। প্রবীণ আইনজীবী কে পরাশরনকে রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। ট্রাস্টের অন্য সদস্যরা হলেন, জগৎগুরু শংকরাচার্য, স্বামী বাসুদেবানন্দজী (এলাহাবাদ), স্বামী মাধবাচার্য, স্বামী বিশ্বপ্রসন্নতীর্থ (উদুপী), স্বামী প্রেমানন্দ (হরিদ্বার), স্বামী গোবিন্দদেব গিরি( পুণে),বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র (অযোধ্যা)। সম্প্রতি রামমন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির সবটাই প্রদান করা হয়েছে রামমন্দির ট্রাস্টকে। ৫ একর জমি পৃথক স্থানে দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য।
আজ বৈঠকে মোহন্ত নৃত্য গোপাল দাস বলেছেন, ১৯৯২ সাল থেকে করসেবকপুরমে যে মন্দির নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে সেই নির্মিত অংশ, যাবতীয় ভাস্কর্য ও স্থাপত্য সম্বলিত পাথর এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাথর মন্দির ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিকে রামমন্দির কোন ডিজাইনে করা হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। নতুন করে একটি নকশা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই নকশার পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কাছে থাকা পুরনো প্ল্যান ও মডেলও কাজে লাগানো হবে। বৈঠকে বলা হয়েছে, পরবর্তী বৈঠকের বিষয়বস্তু হবে মন্দির নির্মাণের তহবিল গঠন নিয়ে। কত টাকা মন্দির নির্মাণে লাগবে তার একটি প্রাথমিক এস্টিমেট ধার্য করা জন্য এস্টিমেট কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন অযোধ্যার জেলাশাসকও। সুন্দর আয়ার সংস্থা অডিটর। স্টেট ব্যাঙ্কে খোলা হবে অ্যাকাউন্ট। আগামী বৈঠকে স্থির হবে মন্দির নির্মাণের ব্যয়বরাদ্দ।