পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এরপরেই বিষয়টি নিয়ে তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন আরপিএফ কর্তারা। তার জেরেই প্রকাশ্যে এসেছে মিনিট কয়েকের মধ্যেই তৎকাল কোটার টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে তিনটি দূরপাল্লার মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনের তৎকাল কোটার তথ্য দিয়েছে আরপিএফ। সেগুলি হল, মগধ এক্সপ্রেস (২০৮০২), সম্পূর্ণক্রান্তি এক্সপ্রেস (১২৩৯৩) এবং স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেস (১২৫৬৫)। মগধ এক্সপ্রেসের শুধুমাত্র থ্রি টিয়ার এসি এবং সম্পূর্ণক্রান্তি ও স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেসের সমস্ত এসি ক্লাসের তৎকাল কোটার হিসেব দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ট্রেনের তৎকাল কোটার টিকিট বুকিং শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে। নির্ধারিত যাত্রার একদিন আগে তা বুক করতে পারেন সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা। আরপিএফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ অক্টোবর মগধ এক্সপ্রেসের তৎকাল বুকিং শুরুর পর সকাল ১০টা ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডেই ‘ক্লোজিং’ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে তৎকাল কোটার টিকিট। ওই ট্রেনেই গত ২৭ অক্টোবর তৎকাল বুকিং শুরুর পর সকাল ১০টা ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে ক্লোজিং হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তৎকাল কোটার টিকিট শেষ হয়েছে বুকিং শুরুর ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের মধ্যে। সম্পূর্ণক্রান্তি এক্সপ্রেসের গত ১৬ নভেম্বরের হিসেব বলছে, তৎকাল টিকিট বুকিং শুরুর মাত্র ৪ মিনিট ১১ সেকেন্ডের মধ্যে যাবতীয় কোটা শেষ হয়েছে। ওই একইদিনে স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেসের এসি ক্লাসগুলিতে তৎকাল বুকিং শুরুর পর ‘ক্লোজিং’ হয়েছে ১০টা ২ মিনিট ২১ সেকেন্ডে। অর্থাৎ ২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের মধ্যেই কোটা শেষ।
আরপিএফ জানিয়েছে, বেআইনি সফটওয়্যার এএনএমএস ও ম্যাকের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেওয়ার পর উল্লিখিত ট্রেনগুলির এসি ক্লাসগুলিতে তৎকাল বুকিং ‘ক্লোজিং’ কখনও হয়েছে রাত ৮টা ২১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে, কখনও বিকেল সাড়ে তিনটের সময়। এই তথ্য চলতি বছরের ৮, ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির। যেখানে অনলাইনে টিকিট কাটতে ২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড লাগার কথা, সেখানে অবৈধ সফটওয়্যার ব্যবহার করে ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে বুকিং হচ্ছে।