দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
যেকোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অবস্থান আন্দোলনের একেবারে শুরুর দিন থেকেই শাহিনবাগে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীদের এদিনের বৈঠককে কেন্দ্র করে পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছিল গোটা এলাকা। ছিল সিআরপিএফ জওয়ান, দাঙ্গা প্রতিরোধকারী পুলিস। যদিও এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে মধ্যস্থতাকারীরা আন্দোলনরত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। বিক্ষোভমঞ্চে ঢুকেই তাঁরা উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বেরিয়ে যেতে বলেন। যাকে কেন্দ্র করে এদিন শাহিনবাগে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কারণ আন্দোলনকারীরা দাবি করতে থাকেন, ‘যা কথা, তা মিডিয়ার সামনেই বলতে হবে। নাহলে এই আলোচনার কোনও অর্থ নেই।’ তাঁদের শান্ত করে সাধনা রামচন্দ্রন, সঞ্জয় হেগড়েরা বলেন, ‘কথাবার্তা শেষ হওয়ার পর বৈঠকের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হওয়া আগে জরুরি।’ আন্দোলনরত মহিলারা তাঁদের লাল গোলাপও দেন।
পরে বিক্ষোভমঞ্চ থেকে সাংবাদিকদের বাইরে বের করেই আলোচনা শুরু করেন মধ্যস্থতাকারীরা। তবে প্রথমে শুধুমাত্র সঞ্জয় হেগড়ে এবং সাধনা রামচন্দ্রন শাহিনবাগে আসেন। পরে আলাদাভাবে আসেন ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ। জানা যাচ্ছে, বিক্ষোভমঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পড়ে শোনান তাঁরা। বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কখনওই আপনাদের প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার কথা বলছে না। তবে আপনাদের যেমন অধিকার রয়েছে, তেমনই অন্যদেরও এই অবরুদ্ধ রাস্তা ব্যবহার করার অধিকার রয়েছে। যে দোকানগুলি দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে রয়েছে, সেগুলি খুলে ব্যবসার অধিকারও ব্যবসায়ীদের রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদেরও এই রাস্তা ব্যবহার করে সহজে স্কুল-কলেজে পৌঁছে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। আপনাদের সেটিও মাথায় রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে এমন সমাধান বের করব যাতে, তা আগামী দিনে সারা বিশ্বের কাছেই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’ যদিও আজকের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলা যাচ্ছে না, আন্দোলনকারীরা অবরুদ্ধ রাস্তা খুলে দিয়ে শাহিনবাগের অন্যত্র তাঁদের আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। পরে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাধনা রামচন্দ্রন, সঞ্জয় হেগড়ে বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আমাদের শাহিনবাগ নিয়ে মধ্যস্থতা করার দায়িত্ব দিয়েছে। একদিনে তো তা হবে না। একদিনে সকলের সঙ্গে কথা বলাও সম্ভব নয়। তাই আমরা দাদিদের কাছে জানতে চেয়েছি, ফের আমরা আসি, তা তাঁরা চান কি না। তাঁরা আমাদের আবার আসতে বলেছেন। তাই আগামীকাল ফের আমরা এসে আন্দোলনরত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলব।’ শাহিনবাগ নিয়ে আগামী সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আলোচনার রিপোর্ট ওইদিনই সর্বোচ্চ আদালতে জমা দিতে পারেন মধ্যস্থতাকারীরা।