গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর এই ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’-এ তখন হতবাক মন্ত্রী-সান্ত্রীরা। ভিড় জমতে শুরু করেছে মেলা প্রাঙ্গনে। প্রধানমন্ত্রীকে আগলে রাখতে তখন হিমসিম অবস্থা নিরাপত্তারক্ষীদের। সকলের বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতেই প্রধানমন্ত্রী ঘুরতে লাগলেন মেলার প্রতিটি স্টলে। একেবারে নিজের মতো করে। সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। ঘোরার ফাঁকে সতীর্থ মন্ত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বসলেন চায়ের আড্ডায়। সাধারণ বেতের চেয়ারে বসে চা খেলেন দু’জনে। তার আগে অবশ্য মোদি চেখে দেখেছেন প্রিয় খাবার ‘লিট্টি চোখা’। দামও মেটালেন নিজের পকেট থেকে। সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর খরচ হল সাকুল্যে ১৬০ টাকা।
দিল্লির রাজপথে ‘হুনার হাট’-এর উদ্যোক্তা কেন্দ্রের সংখ্যালঘু মন্ত্রক। বিভিন্ন রাজ্যের হস্তশিল্পীরা তাঁদের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে হাজির হন এই মেলায়। রন্ধনশিল্পে পারদর্শীরাও মেলায় অংশগ্রহণ করেন। মেলা চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে ‘হুনার হাট’ পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন মোদি। সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘হুনার হাট’-এ যাওয়ার আগাম কোনও পরিকল্পনা ছিল না প্রধানমন্ত্রীর। ফলে সরকারি মহলে তেমন কোনও তৎপরতাও ছিল না। প্রস্তুত ছিল না নিরাপত্তা বাহিনীও। প্রধানমন্ত্রী মেলায় পৌঁছতেই ভিড় জমতে শুরু করে। সেই ভিড় সামাল দিতে লেজেগোবরে অবস্থা হয় নিরাপত্তারক্ষীদের।
‘হুনার হাট’-এ টানা প্রায় ৫০ মিনিট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি। সঙ্গীতের যন্ত্রাংশ নির্মাতাকারী একটি সংস্থার স্টলে গিয়ে একটি বাদ্যযন্ত্র বাজানোর চেষ্টা করেন তিনি। অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের উৎসাহ দিতে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন মোদি। নাকভিকে নিয়ে একটি স্টলে ‘লিট্টি-চোখা’ খেলেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে এই ‘লিট্টি-চোখা’ অত্যন্ত প্রিয় খাবার। ‘হুনার হাট’-এ এক প্লেট ‘লিট্টি-চোখা’র দাম ১২০ টাকা। সেই দাম মেটালেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। দু’কাপ চায়ের দামও প্রধানমন্ত্রী মিটিয়েছেন বলে সূত্রে খবর। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর খরচ হয়েছে ৪০ টাকা। পরে মেলায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যের হস্তশিল্পকে বাঁচাতেই এই ‘হুনার হাট’-এর আয়োজন। আগামীদিনে আপনাদের অংশগ্রহণে আরও সমৃদ্ধ হোক এই হাট।’