পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সবরমতী আশ্রমে পৌঁছে ট্রাম্প যাবেন ‘হৃদয় কুঞ্জ’-এ। আশ্রমের এই ঘরেই থাকতেন গান্ধীজি। সেখানে রাখা গান্ধীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানাবেন সস্ত্রীক ট্রাম্প। হৃদয় কুঞ্জ থেকে বেরিয়ে মহাত্মা গান্ধীর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস ও স্মারকে সমৃদ্ধ যাদুঘরটি ঘুরে দেখবেন তাঁরা। গান্ধীজির ব্যবহৃত চরকাটিও দেখানো হবে তাঁদের। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রার্থনা ভূমিতে যাবেন মেলানিয়া এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে প্রার্থনাতেও অংশ নেবেন তাঁরা। আশ্রমে তাঁরা প্রায় ২৫ মিনিট সময় কাটাবেন বলে খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, ট্রাম্প দম্পতিকে চরকা ও গান্ধীজির আত্মজীবনী উপহার দেওয়া হবে। চরকায় সুতো কাটতেও পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরের সমস্ত ব্যবস্থাপনা ক্রুটিপূর্ণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেদাবাদ পুরসভা ও আমেদাবাদ নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে চলছে শহরকে সাজিয়ে তোলার কাজও। সূত্রের খবর, শহর সাজাতে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। শহরের প্রতিটি প্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির কাটআউটে ছেয়ে গিয়েছে। রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিরাট বিরাট হোর্ডিংও।
মনে করা হচ্ছে, গতবছরের মেগা ইভেন্ট ‘হাউডি মোদি’কে ছাপিয়ে যাবে আমেদাবাদের ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠান। মোতেরা স্টেডিয়ামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রায় সোয়া লক্ষ মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ক্রিকেট ও বলিউড জগতের বহু তারকার পাশাপাশি শিল্পপতিদেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই স্টেডিয়ামের উল্টোদিকের দেওয়ালগুলি মোদি, ট্রাম্পের ছবি ও বিভিন্ন স্লোগানে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই সাধারণের জন্য স্টেডিয়ামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ‘নমস্তে ট্রাম্প’-এর মাধ্যমেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের আড়াই ঘণ্টার আমেদাবাদ সফরের সমাপ্তি ঘটবে। এরপর তিনি দিল্লি ও আগ্রার উদ্দেশে রওনা দেবেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি তাজমহলেও যাওয়ার কথা হয়েছে ট্রাম্পের।
এদিকে, ট্রাম্পের সফরকে ঘিরে আমেদাবাদের দেব সরন বস্তির সামনে দেওয়াল তোলার কাজ শুরু করেছে আমেদাবাদ পুরসভা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। সমালোচকদের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের চোখের আড়াল করতেই বস্তির সামনে দেওয়াল তোলা হচ্ছে। এরই মধ্যে সোমবার পুরসভার তরফে ওই বস্তির ৪৫টি পরিবারকে উচ্ছেদের নোটিস ধরানোর অভিযোগ উঠল। যদিও, পুরসভার তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই নোটিসের সঙ্গে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ কর্মসূচির কোনও সম্পর্ক নেই।