মুম্বই, ১৮ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): মহারাষ্ট্রে শিবসেনার নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনের পর চার মাসও কাটেনি। এরমধ্যেই নানা ইস্যুতে জোট শরিক এনসিপির সঙ্গে শিবসেনার মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসা শুরু হয়েছে। দু’বছর আগের এলগর পরিষদ হিংসা মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে রাজ্যে সিএএ এবং এনপিআর চালু করা, সবেতেই দুই মেরুতে মহারাষ্ট্র সরকারের দুই শরিক। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মঙ্গলবার এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে এতে দুই শরিকের মতপার্থক্য চাপা দেওয়া যাচ্ছে না।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক অব্যাহত। কংগ্রেস এবং এনসিপি সিএএ-র বিরোধিতায় সরব হয়েছে। সিএএ এবং এনপিআরকে আবার সমর্থন করেছে উদ্ধবের দল শিবসেনা। সিএএ এবং এনপিআর সমর্থন করে একাধিকবার দলীয় মুখপত্র সামনায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার উদ্ধবের এই নিয়ে ট্যুইট, ‘সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি আলাদা আলাদা বিষয়। সিএএ চালু করা নিয়ে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে রাজ্যে এনআরসি চালু হবে না।’ এনপিআর চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এনপিআর হল জনগণনা। এর মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই। দশ বছর অন্তর এই গণনা করা হলে কারও ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। তাই রাজ্যে এটা চালু করা হবে।’ অপরদিকে, এনআরসি চালু না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা চালু হলে কেবল হিন্দু বা মুসলিমরাই নন, ক্ষতির মুখে পড়বেন আদিবাসীরা।’
ভীমা-কোরেগাঁও সংশ্লিষ্ট এলগর পরিষদ হিংসা মামলার তদন্তভার কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়া নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে এনসিপি এবং শিবসেনার। সম্প্রতি এলগর পরিষদ মামলার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। উদ্ধব থ্যাকারে সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। বিভিন্ন মহলের জল্পনা, এবার হয়ত ভীমা-কোরেগাঁও মামলার তদন্তভারও কেন্দ্রের হাতে তুলে দেবে মহারাষ্ট্র সরকার। এই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার উদ্ধব থ্যাকারের ট্যুইট, ‘এলগর পরিষদ এবং ভীমা-কোরেগাঁও দু’টি ভিন্ন বিষয়। ভীমা-কোরেগাঁও নিয়ে আমার দলিত ভাইয়েরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। এই মামলা আমি কেন্দ্রের হাতে তুলে দেব না। আমি নিশ্চিত করে জানাতে চাই যে দলিত ভাইদের প্রতি কোনও অন্যায় হবে না।’