গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বছর ৬৫’র রুক্মিনীদেবীকে ছেলেদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল হ্যাম রেডিও ব্যবহারকারী ওয়েস্টবেঙ্গল রেডিও ক্লাব। তাদের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলেন, প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হওয়ার পর বেশ কিছু অচেনা মানুষকে সাগরদ্বীপে ঘুরতে দেখা যায়। এরা যে কোনও কারণেই গঙ্গাগারে এসে আত্মীয়দের থেকে হারিয়ে গিয়ে আর ফিরতে পারেন না। পরবর্তী সময়ে তাঁরা এখানে ভিক্ষা করেই নিজেদের দিন চালান। এই অবস্থায় সেই সমস্ত মানুষগুলিকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় ক্লাব। সহযোগিতায় এগিয়ে আসে জেলা প্রশাসনও।
সাগরদ্বীপে হ্যাম রেডিও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দিবস মণ্ডল বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ভবঘুরেদের হদিশ করতে থাকেন। মেলা শেষ হওয়ার কয়েকদিন পরেই সাইক্লোন সেন্টারের বারান্দায় রুক্মিনী দেবীকে দেখতে পান দিবস। এরপরে তাঁর বাড়ির খোঁজ শুরু হয়। কলকাতার বেলেঘাটা, রবীন্দ্রনগর, আক্রা হয়ে রাজস্থান, হরিয়াণার বিভিন্ন জায়গার নাম রুক্মিনীদেবীর মুখে শুনে সব জায়গাতেই হ্যাম রেডিও’র ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের খোঁজ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ছাপড়া হ্যাম রেডিও ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় অমিত রায় নামে এক যুবকের। যিনি বলেন, তাঁর ঠাকুমারও নাম রুক্মিনী। কিন্তু, তিনি তাঁর জন্মের আগে থেকেই নিখোঁজ। তাই তিনি ঠাকুমাকে চেনেন না। এরপরে ছাপড়া হ্যাম রেডিও ব্যবহারকারীরা রুক্মিনীদেবীর ছবি নিয়ে তাঁর ছেলেদের কাছে যায়। প্রথমে ছেলে মিথিলেশ চিনতে না পারলেও, আরেক আত্মীয় রুক্মিনীদেবীকে চিনে ফেলেন। এমনকী গ্রামের অনেক বাসিন্দাও তাঁকে চিনতে পারে। এরপরেই মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে ছেলের কথা হয়।
অম্বরিষবাবু জানান, আজ রুক্মিনীদেবীকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তাঁরা এরকম আরও ভবঘুরেদের ঘরে ফিরিয়ে দিতে আরও সক্রিয় হবেন।